দলীয় নেতারা চাইলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতেই পারেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দলের প্রয়োজনেই কৌশলগত সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা থাকতে পারে কারো কারো। কৌশলগত কারণে দলের প্রয়োজনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুমতি।
সেতুমন্ত্রী গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের চিঠি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের চেষ্টা করছে সরকার। পরিবেশ বিঘ্নিত করছে বিরোধী দল। সরকারি দল কোনো সহিংসতা করছে না। একটা বিশেষ দল অংশ নিলেই কি নির্বাচন বৈধ হয়ে যায়? তারা এলেই কি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়ে যায়? ২৫–৩০টি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি অংশ না নিলেও তাদের দলের কিছু নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে জিততে পারবে না বলেই ভোট এড়াতে চাচ্ছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই পরিষ্কার হবে বিএনপি থেকে কারা কারা নির্বাচনে আসবে।
দুই আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করার বিষয়ে তিনি বলেন, দলীয় কৌশলগত কারণেই দু’টি আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী জোটের সুবিধা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখানে অ্যাডজাস্টমেন্ট–অ্যাকোমডেশনের বিষয় আছে। সেগুলো চূড়ান্ত করবে দল।
এরআগে গতকাল সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।