আওয়ামী লীগের সহযোগি দুই সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী নগরীর বালিয়াপুকুর ছোট বটতলা এলাকায় । বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের সময় এক যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত তিনজন আহত হন।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একরামুল হক গুড্ডুকে (৩৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডান পায়ে গুলি লেগেছে। চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা পুঙ্গ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়। ফলে রাতেই একটি এ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

গুলিবিদ্ধ একরামুল হক গুড্ডুর বাড়ি নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম এলাকায়। তার পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম।

নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুনিরুজ্জামান মনি ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক (বহিস্কৃত) শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তরিক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এলাকার আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির সাথে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম তরিকের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বিল্লাল উদ্দিন বলেন, একরামুল হক গুড্ডুর ডান পায়ের হাটুর উপরে গুলি লেগেছে। এর ক্ষত বড়। তাই প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর সাথে সাথে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। কিন্তু রক্ষ বন্ধ হচ্ছেনা। তাই তাকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হন। তাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় একটি স্থানীয় দুই যুবকের পুর্বশত্রুতা ও মারামারির ঘটনার আপস মিমাংসার শালিস বৈঠক বসে। সেখানে তরিকুল ইসলাম তরিক একটি পক্ষের হয়ে কথা বলেন। এক পর্যায়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তরিক উত্তেজিত হয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরকে গালাগালিজ করে এবং শালিস বৈঠক থেকে চলে যায়। পরে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাবাসহ তার লোকজন তরিকের বাড়িতে গিয়ে কাউন্সিলরকে গালাগালি করার কৈফিয়েত চান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডর এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হলে গুড্ডু গুলিবিদ্ধ হন।

কাউন্সিলর মরিরুজ্জামান মনি বলেন, আমাকে উদ্দেশ্য করে তরিক কয়েক রাউন্ড গুলি করে। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে একটি গুড্ডুর ডান পায়ে লাগে।

এ নিয়ে নিয়ে তরিকুল ইসলাম তরিকের বক্তব্য জানার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, কে গুলি চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

Share Now
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031