সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন বন্ধু মৃদুল,সিয়াম ও বিশাল এর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন পাবনার ঈশ্বরদীতে ।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ। আজ (শুক্রবার) সকাল ১১ টার দিকে ইউএনও নিহত তিন শিক্ষার্থীর বাড়িতে যান।
এ সময় তাঁর সঙ্গে সরকারি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট রফিকুল ইসলাম এবং দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল সরদার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, গত সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুরে মোটরসাইকেল ও করিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহীর মধ্যে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র দাশুড়িয়া আতাইল শিমুল গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মৃদুল হোসেন (১৬) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
গুরুতর আহত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের শিহাব সরদারের ছেলে সিয়াম সরদার ও বিশাল হোসেন (১৫) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবারাত সাড়ে ১২টার দিকে সিয়াম মারা যায়। চিকিৎসাধীন বিশাল হোসেনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরের দিন বিশালের মৃত্যু হয়।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল সরদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনায় পুরো দাশুড়িয়া ইউনিয়নে শোক নেমে এসেছে। কারন নিহত তিন ছাত্রের বাড়ি দাশুড়িয়া ইউনিয়নে। আমরা সকলেই শোকাহত।
ইউএনও সুবীর কুমার দাশ বলেন, এক সঙ্গে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু খুবই কষ্টের ও শোকের। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মোরট বাইক চালানোর ক্ষেত্রে পরিবার থেকে নজরদারী রাখা গেলে এই ধরনের দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে অকালপ্রাণহানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।