ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করেছে রোববার সন্ধ্যায় সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ঢাকার বিডিএস করপোরেশন প্রথম চালানে । বন্দর থেকে এসব ডিম ছাড় করে সরবরাহ করা হবে বাজারে। আমদানি ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতি পিস ১০ টাকার মধ্যে বিক্রি সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বাজারে ডিমের দাম ৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৩-১৪ টাকা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। অবশেষে রোববার সন্ধ্যায় প্রথম চালানে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ডিমের আমদানি হয়। এসব ডিমের আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে ২৯৮৮ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশি অর্থে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতি পিস ডিমের ভারতে কেনা মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা।
সূত্র জানায়, মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। আমদানি শর্তে বলা হয়েছে, ডিম ভাইরাসমুক্ত থাকতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন অফিসের ইনচার্জ বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, ডিমবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর সেটি ভাইরাসমুক্ত বা খাওয়ার উপযোগী কিনা পরীক্ষা করা হয়। ডিমগুলো মানসম্পন্ন হওয়ায় বন্দর থেকে ডিমের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি, রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ডিম আমদানির ফলে দেশে যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছিল তা এখন ভাঙবে।