নগর পুলিশের বিশেষ শাখার তৎকালীন এএসআই নজরুল ইসলাম আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনের পর আশেপাশের ছয় স্থাপনার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ এবং জব্দ করে । গতকাল চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে দেওয়া সাক্ষে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।
বর্তমানে এসবি ঢাকায় কর্মরত পুলিশের এ কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, ঘটনার পরদিন ৬ জুন তিনি প্রথমে ওয়েল ফুডের সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করেন। এরপর হোটেল ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স, কাতালগঞ্জের ঝুমাইয়া টাওয়ার, এপিক হেলথ কেয়ার, প্রবর্তক মোড়ের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও ইকুইটি সেন্ট্রিয়াম নামের স্থাপনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জব্দ করেন। এছাড়া ২০ জুন নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে আসামি নবী, ওয়াসিম, মুসা ও রাশেদের ছবির প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করেন নজরুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কেশব নাথ বলেন, আজকে (গতকাল) পুলিশ সদস্য নজরুল সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মিল্টন দে নামের একজন কনস্টেবল বাদুরতলা থেকে জব্দ করা একটি মোটরসাইকেল বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া, ইপিক হেলথ কেয়ারের ইঞ্জিনিয়া সোহেল রানা, ম্যানেজার (এডমিন) আরেক হোসেন, জুমাইরা হোল্ডিংস কাতালগঞ্জের ম্যানেজার আতিক হাসান, সিকিউরিটি গার্ড সাহাব উদ্দিন, হোটেল ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সের সিনিয়র এঙিকিউটিভ মঈনুল হাসান, আইটি ম্যানেজার বিশ্বনাথ দাশ, কর্মকর্তা শহীদুল আলম ও আইটি এঙিকিউটিভ আলাউদ্দিনও পুলিশের জব্দ করা সিসিটিভি ফুটেজ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজকে (গতকাল) মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করেছেন বিচারক। মিতু খুনের মামলায় সবমিলে এখন পর্যন্ত ৩২ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালত সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র এক কর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার নিজেই, এমনটা উল্লেখ করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্ঠার ডকেট ও ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক।
মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল ৬ বছর আগে যে মামলা করেছিলেন তাতেই তাকে প্রধান আসামি করে এই চার্জশিট দেয়া হয়। বাবুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ৬ জন হলেন, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও মো. খায়রুল ইসলাম কালু। এর আগে ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোড এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু।