যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। নাম আলী হায়দার রানা। বাড়ি যশোর শহরের কারবালা এলাকায়। বাবার নাম কামাল উদ্দিন সিদ্দিক। ১৫ দিন আগে বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে পা ভেঙেছে। বিছানায় কাতরাচ্ছেন। অথচ তাকে প্রথম দফার অবরোধের শেষ দিন রাতে বাস পোড়ানোর মামলায় আসামি করা হয়েছে। ৩৫ জন আসামির এই মামলায় তার নাম রয়েছে ১৯ নম্বরে। কেবল তাই না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এই নেতার বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৬৮ বছর!
বিএনপি নেতারা বলছেন, আলী হায়দার রানার পা ভেঙে যাওয়ার পর ১৫ দিন ধরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি আনা-নেয়া করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত তার পায়ে প্লাস্টার। শুয়ে আছেন বাড়িতে। কবে নাগাদ হাঁটতে পারবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাতে শহরের মণিহার এলাকায় বিআরটিসির একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩৫ জনের নামে মামলা করে। কোতোয়ালি থানার এসআই জয়ন্ত সরকার এ মামলা করেছেন। যাদের আসামি করা হয়েছে তারা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতা। আসামি করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে। যদিও মামলার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরপরই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। মামলা থেকে বাদ যাননি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবও। অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় দফার অবরোধের প্রথম দিন রোববার বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মীকে র্যাব, ডিবি ও পুলিশ আটক করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।