২য় বাইপাস সড়কের সাবগ্রাম-ঘূনিয়াতলা এলাকায় সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ৭২ ঘন্টার দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌ-পথ অবরোধের ২য় দিনে বগুড়ায় বিজিবি’র সাথে জামায়াত কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে তিনমাথা রেলগেট এলাকায় সকাল ১০টার দিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নের্তৃত্বে অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা লাঠি-সোটা হাতে নিয়ে শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় পৌছে এক পথসভায় আন্দোলন বেগবান করতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন সরকারের পতন না আসা পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি অব্যহত থাকবে। এর পর পুলিশ, বিজিবি, ও আনাসর সদস্যসহ ইক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনস্থালে পৌচে প্রায় ৩০ মিনিট মুখোমুখি অবস্থান থাকার এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের পিছু হটাতে টিয়ারসেল ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় নেতা কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হলেও বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা কর্মীরা বিভিন্ন অলি-গলি থেকে ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পিছু হটে আসে। এর পর থেকে এই এলাকাসহ শহরের বনানী, মাটিডালি, চারমাথা, বেতগাড়ীসহ বিভিন্নস্থানে বিএনপি নেতা কর্মীরা অবস্থান নিয়ে থাকে। এছাড়া বাঘোপাড়া পুন্ড্র ইউনিভার্সিটির সামনে একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় অবস্থানরত নেতাকর্মীরা।
আভিযানিক পুলিশি দলের নেতৃত্বদেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার। সকাল ১০ থেকেই তাকে তিনমাথা রেলগেট এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়।
বি এন পি নেতা কর্মীদের দাবি সংঘর্ষে বিএনপির ৫/৬জন নেতাকর্মী ছোড়রা গুলিতে আহত হয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে বুধবার ভোর থেকে শহরের তিনমাথা, চারমাথা, সাবগ্রাম-ঘুনিয়াতলা এবং বারোপুর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে পিকেটিং শুরু করে। সকাল ৯টার দিকে ২য় বাইপাস সড়কের ঘুনিয়াতলায় বিজিবি পাহারায় আটকে থাকা কয়েকটি কোচ পারাপারের সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় বিজি’ির সাথে জামায়াত কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০ মিনিট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর জামায়াত কর্মীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান জানান, অবরোধের সমর্থনে জামায়াত নেতাকর্মীরা শহরের ৪টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচী পালন করছে। ঘুনিয়াতলায় কিছুটা উত্তেজনা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জামায়াত কর্মীদেরকে শান্তিপূর্নভাবে অবরোধ পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম যায়যায়দিনকে বলেন, আমরা সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে তিন মাথা রেলগেট এলাকায় অবস্থান করছিলাম। হঠান পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই আমাদের উপর গুলি, টিয়ারশেল ছোড়ে। এসময় আমাদের প্রায় ৫/৬জন নেতাকর্মী রাবার বুলেটে আহত হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বলেন, সকাল থেকেই আমাদের নেতাকর্মীরা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চাইলেও পুলিশ এবং আওয়ামী বাহিনী আমাদের উপর হামলা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, বর্ষীয় নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সহিদুন্নবী সালামসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। আমার বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, রাস্তায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরাতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমার রাস্তায় অপ্রিতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে দিবো না।