সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ ইসলাইলের গাজা আগ্রাসনে নাখোশ। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিসরের বিশেষ তৎপরতা। মিসর হঠাৎ করে গাজা সীমান্তে বিসাল সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে। এতে করে ইসরাইলী বাহিনীর মধ্যে নতুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে আজ রাশিয়ার আহ্বানে জাতিসংঘে বিশেষ বৈঠক বসবে। বিশ্ব রাজনীতিতে এখন হামাস-গাজা ইস্যুটি প্রাধান্য পাচ্ছে। দেশে ইসরাইলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো দেশে ইসরাইলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে।
জানা যায়, ইসরাইল যখন নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করে গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, স্থল হামলার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন গাজার রাফা সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে মিসর। একমাত্র রাফা ক্রসিং দিয়েই গাজার লোকজন মিসরে প্রবেশ করতে পারে।
খবরে প্রকাশ, ইসরাইল চাচ্ছে, হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুকে সিনাই মরুভূমিতে ঠেলে দিতে। মিসর বলছে, এত বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে উৎখাত করাটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তাছাড়া এটি মিসরের জন্য জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করার পাশাপাশি দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিকে আরো বিধ্বস্ত করে ফেলতে পারে। গার্ডিয়ানে এমন মন্তব্যই করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনিরা নিজেরা এবং আরো কয়েকটি আরব দেশ আশঙ্কা করছে যে সিনাই চলে গেলে এসব ফিলিস্তিনিকে আর কখনো তাদের বাড়িতে ফিরতে দেয়া হবে না।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল-সিসি বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই তাদের ‘তাদের বাড়িতে এবং তাদের ভূমিতে’ দৃঢ়ভাবে থাকতে হবে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, তিনিও এ ব্যাপারে মিসরের সাথে পুরোপুরি একমত।
কায়তো তিনি বলেন, ‘আমি আবারো বলছি, আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার বিপক্ষে। আমরা কখনো তাদেরকে মিসরে বহিষ্কারের নীতি অনুমোদন করব না।’
মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহে শুউক্রি তার জার্মান প্রতিপক্ষ আনালেনা বায়েরবকের সাথে বৈঠককালেও জোর দিয়ে বলেছেন যে তারা গাজায় আটকা পড়া বিদেশী নাগরিকদের গ্রহণ করবে না। এমনকি রাফা গেট দিয়ে মার্কিন নাগরিকদেরও প্রবেশ করতে দেবে না, যদি না ইসরাইল গাজায় সাহায্য বহর প্রবেশ করতে না দেয়।
সিসির হাতে দরকষাকষির যে কয়েকটি হাতিয়ার আছে, এটি তার একটি বলে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে।