সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে । তবে ওই সরকারের আকার কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি তিনি। বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করে।
সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গতবার (গত নির্বাচনে) যেভাবে ছিল ওটাই নির্বাচনকালীন সরকার। এটা শেখ হাসিনার এখতিয়ার। তিনি যদি মনে করেন মন্ত্রিসভা ছোট করার দরকার বা যেভাবে আছে সেভাবে থাকা দরকার এটা তার এখতিয়ার। এখনই এই আলাপ করার সময় না। খবর বিডিনিউজের।
নির্বাচনকালীন সরকারের আলোচনা কবে শুরু হতে পারে, এ প্রশ্নে কাদের বলেন, তফসিল ঘোষণা হলে হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন খুব শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, তখন কোনো উদ্বোধন আমরা করতে পারব না, সরকারের কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরুও করতে পারব না। তখন আমরা জাস্ট রুটিন ওয়ার্ক করব। সরকারে আছি। মন্ত্রীর রুটিন ওয়ার্ক আছে, প্রধানমন্ত্রী রুটিন আছে।
সেই সময় নির্বাচন সম্পর্কিত সবকিছু নির্বাচন কমিশন নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন তাদের যা যা ডিমান্ড, সংবিধান অনুযায়ী আমরা তাদেরকে সে সহায়তা করতে বাধ্য। এসপি–ডিসি যদি চেঞ্জ করার দরকার হয়, তারা করবে।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে শেষ হচ্ছে সংসদের মেয়াদ। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। নির্বাচন কমিশন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা হতে পারে নভেম্বরের শুরুতে।
বিএনপি শর্ত তুললে সংলাপ : নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে আপত্তি নেই বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতা। তবে সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেওয়ার যে শর্ত বিএনপি দিয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কাদের বলেন, শর্তযুক্ত কোনো সংলাপের ব্যাপারে আমাদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। শর্ত তারা প্রত্যাহার করলে দেখা যাবে। অন্য বিষয় (মার্কিন প্রাক–নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশ) নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, ওগুলো নিয়ে আমরা সবাই একমত।
বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক–নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে তারা (বিএনপি) কার সাথে আলোচনা করবে? রাষ্ট্রপতি আলোচনা করতে চেয়েছেন, তারা (বিএনপি) রিজেক্ট করেছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দুইবার আলোচনার প্রস্তাব তারা খারিজ করে দিয়েছে।