মঙ্গলবার বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্বজনদের আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মমতাময়ী দিকটি তুলে ধরতে গিয়ে ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কখনও মায়ের মতো, কখনও বোনের মতো।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব সময় আমাদের কথা ভাবেন, আমাদের পাশে দাঁড়ান। সুযোগ সুবিধা দেখেন।’
চাকরিরত অবস্থায় পুলিশের কোনো সদস্য মারা গেলে তিন সদস্যের পরিবারের সদস্যরা যেন রেশন সুবিধা নিশ্চিত করেছে সরকার। এর প্রশংসা করে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।’
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ নিরলস কাজ করছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা জননিরাপত্তা বিঘিœত করবে তারা যেই হোক না কেন তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।’
পুলিশ সদস্যদের সুযোগ সুবিধা আরও বাড়বে আশ্বাস দিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আইজিপি বা কমিশনার অসুস্থ হলে যে চিকিৎসা দেয়া হয় একজন কনেস্টেবল আহত হলেও একই স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। আমরা সবাই এক বিপদে আপদে আমরা সবাই এক সঙ্গে থাকব।’
শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা ঠেকাতে নিহত পুলিশ সদস্য আনছারুল হক এবং জহিরুল ইসলমের ভূয়সী প্রশংসা করেন ডিএমপি কমিশনার। বলেন, ‘তারা কেবল পুলিশের নয়, গোটা দেশের গর্ব। তারা না থাকলে শোলাকিয়ায় শত শত মানুষ মারা যেতে পারতো।’
অনুষ্ঠানে গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন খাঁন এবং শোলাকিয়ায় নিহত কনস্টেবল আনছারুল হক ও জহিরুল ইসলামের স্বজনদের হাতে মোট এক কোটি ২৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া হয়। এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকা ও পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১৮ লাখ টাকা দিয়েছে।