বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের । কিন্তু নতুন বিশ্বকাপে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। রানার্স আপ নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জার হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ইংলিশরা। ফেবারিট হিসেবে এসেও শুরুতেই হোঁচট খেল ইংল্যান্ড। অপরদিকে ফেবারিটের তকমা ছাড়া বিশ্বকাপে গেলেও বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে ফেবারিটের মতোই। আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায়। আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলার এবং ব্যাটার সবাই দুর্দান্ত খেলেছে। অপরদিকে নিইজল্যান্ডের বিপক্ষে ইংলিশ বোলাররা ভালো করতে পারেনি মোটেও। যার ফল ৯ উইকেটের পরাজয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে হয়েছে তাদের। তাই আজকের ম্যাচে যেখানে বাংলাদেশ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে নামবে তেমনি প্রথম জয়ের দেখা পেতে মাঠে নামবে ইংলিশরা। ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায়।
সামপ্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে পারফরমেন্স আশারনুরূপ না হলেও ইংলিশদের বিপক্ষে আগের ম্যাচের মতো পারফর্ম করতে চায় বাংলাদেশ। আর সে পথে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের সুখ স্মৃতির সাথে ধর্মশালার মন্থর উইকেটও অনেক বেশি আশাবাদী করছে বাংলাদেশ দলকে। প্রথম ম্যাচের মতো সবার সম্মিলিত পারফরম্যান্স আশা করছে বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের দুই নায়ক সাকিব এবং মিরাজ। এই দুজনের পাশাপাশি অন্যরাও সমান অবদান রাখতে চায় ম্যাচে। যদিও দলটি যখন ইংলিশ তখনতো আর আফগানিস্তানের মতো করে ভাবলে চলবে না। ম্যাচের কৌশলেও আনতে হবে পরিবর্তন। আর সে সব মাথায় নিয়েই বাংলাদেশ মাঠে নামতে প্রস্তুত। যদিও এই ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে ইংল্যান্ড। কারণ প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হারটা ক্ষত হয়েই আছে ইংলিশদের জন্য।
যদিও বাংলাদেশ কেবলই নিজেদের নিয়ে ভাবছে বলে জানালেন দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলবো। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে পরিকল্পনায় ম্যাচ জিতেছি সেভাবেই খেলতে চাই আমরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২–১ ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে একই ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ইংলিশরা বাংলাদেশের কাছে। যদিও ওয়ানডে পরিসংখ্যানে যোজন যোজন এগিয়ে ইংলিশরা। দু দলের ২৪ মোকাবেলায় ৫টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৯টিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। তবে বিশ্বকাপে দু’দলের জয় পরাজয়ের রেকর্ড সমান ২–২। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড। সে ম্যাচে বাংলাদেশকে বেশ কষ্টে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর ২০১১ এবং ২০১৫ আসরের মোকাবেলায় ইংল্যান্ডকে যথাক্রমে ২ উইকেট এবং ১৫ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হেরেছিল ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে।
ইংল্যান্ড এখন নিজেদের ক্রিকেট দর্শনে এনেছে অনেক পরিবর্তন। এখন কেবলই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করে ইংলিশরা। আজকের ম্যাচেও তার কোনো ব্যতিক্রম হবে বলে মনে করেন না টাইগার স্পিন বোলিং কোচ। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দু দলের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও জিতেছিল ইংলিশরা। তবে বিশ্বকাপের মূল ম্যাচ মানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখানে জয়ের তৃঞ্চাটা অনেক বেশি। আর চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ইংলিশদের তো জয় ছাড়া অন্য কোন কিছু ভাবারও যেন সুযোগ নেই। তার উপর প্রথম ম্যাচটাতে হেরে বসেছে জস বাটলারের দল।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক জশ বাটলার বলেন, মাত্র একটি করে ম্যাচ খেলেছে দু’দল। এজন্য দল হিসেবে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা জানি আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো খেলতে পারবো। আমরা ভালো পারফমেন্স করার জন্য মুখিয়ে আছি। যদিও উইকেটের কন্ডিশনের কারণে হয়তো একজন বাড়তি স্পিনার নিয়ে নামতে পারে। তবে সেটা নির্ধারিত হবে আজ ম্যাচের আগে। তবে বাংলাদেশ অন্তত একটি জায়গায় স্বস্তি খুঁজে পাবে, তা হচ্ছে এই ম্যাচেও মাঠে ফিরছেন না ইংলিশ অল রাউন্ডার বেন স্টোকস।