গতকাল দুই ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজার–বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম নগরী থেকে কক্সবাজার–বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সব রুটে । সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত আকস্মিক এ ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়েন শতশত যাত্রী। শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালে চট্টগ্রাম নগরী থেকে কক্সবাজার, টেকনাফ, বান্দরবান এবং দক্ষিণের বিভিন্ন উপজেলায় কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বাস–মিনিবাস দেখলেই আটকে দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে অন্য গাড়ি চলাচলে বাধা দেননি তারা। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় ঘর থেকে বেরিয়ে বিপাকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। অধিকাংশই কর্মস্থলের উদ্দেশে কিংবা নানা প্রয়োজনে গন্তব্যে যেতে শাহ আমানত সেতু এলাকায় এসে বাসের অপেক্ষায় আটকা পড়েন। কক্সবাজারের ব্যবসায়ী আবদুল জলিল স্ত্রী–কন্যা নিয়ে চট্টগ্রামের কদমতলী শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। দুপুরে কক্সবাজার পৌঁছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা। কিন্ত শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে কক্সবাজার বাস কাউন্টারে সকাল ৮টায় এসে ১১টা পর্যন্ত বসেছিলেন। কোনো বাস ছাড়েনি। ব্যবসায়ী আবদুল জলিল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শাহ আমানত সেতু এলাকায় এসে আটকে পড়েছি। কোনো বাস যেতে দিচ্ছে না শ্রমিকরা। আমি প্রায় সময় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার যাতায়াত করি।
তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবি হল ‘রুট পারমিট ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার–টেকনাফ ও বান্দরবান রুটে কিছু স্লিপার কোচ (দ্বিতল) চলাচল করছে, এগুলো চলাচল করতে পারবে না। এখন কথা হল রুট পারমিট দেখার কাজ তো বাস মালিক–শ্রমিকদের না। সেটা দেখার জন্য তো অথরিটি আছে। আর দ্বিতল স্লিপার বাস চলাচল করলেও তো যাত্রীদের সুবিধা। তারা (বিক্ষোভকারীরা) অবৈধ বলার কে? কোনো গাড়ি বৈধ নাকি অবৈধ সেটা দেখবে পুলিশ–বিআরটিএ। শুধু তাদের বাস চলাচল করতে পারবে অন্য কোনো বাস চলাচল করতে পারবে না সেটা তো হতে পারে না। অফিসের কাজে পটিয়া যাওয়ার জন্য আগ্রাবাদ থেকে টেক্সি করে শাহ আমানত সেতু এলাকায় নেমে দুর্ভোগে পড়েন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, অফিসের কাজে জরুরি পটিয়া যেতে হচ্ছে। এখন শাহ আমানত সেতু এলাকায় এসে আটকে আছি। বাস শ্রমিকরা কোনো গাড়ি যেতে দিচ্ছে না।