যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় মঙ্গল গ্রহে বসবাসের অনুশীলনে একদল অভিযাত্রী জনমানবশূন্য পরিবেশে এক বছর কাটিয়ে ফিরে এসেছেন। ছয় জনের এই দলটি হাওয়াই দ্বীপে বিশেষভাবে তৈরি এক গবেষণাগারে গত বছরের ২৯ আগষ্ট থেকে বসবাস করতে থাকেন। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার অর্থায়নে এই পরীক্ষামূলক গবেষণার সমন্বয় করেছিল ।
এই পুরো এক বছর তারা মুক্ত বাতাস, তাজা খাবার এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা উপভোগ করতে পারেননি। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন আগামী এক থেকে তিন বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানুষবাহী রকেট পাঠানো সম্ভব হবে। গবেষণায় অংশ নেয়া ছয় জনের মধ্যে ছিলেন একজন ফরাসি অ্যাস্ট্রো-বায়োলজিস্ট, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী এবং চারজন মার্কিনী। এদের মধ্যে একজন পাইলট, একজন আর্কিটেক্ট, একজন সাংবাদিক এবং একজন মৃত্তিকাবিজ্ঞানী। এই পুরো বছর দলটিকে বেঁচে থাকতে হয়েছে সীমিত সম্পদের ওপর। তারা বসবাস করতো বিশেষভাবে তৈরি একটি ডোমের মধ্যে। বাইরে যেতে হলে স্পেস স্যুট পরে যেতে হতো। তাদের বিছানা ছিল ছোট। খাবারের মধ্যে ছিল পনীরের গুড়ো এবং টিনে ভরা টুনা মাছ।
ফরাসী অ্যাস্ট্রো-বায়োলজিস্ট সিপেরিয়ে ভার্সো বলেন, এই অভিজ্ঞতার পর তার মনে হয়েছে মঙ্গলগ্রহে মানুষের অভিযানের সম্ভাবনা এখন অনেক উজ্জ্বল। এই কাজে যেসব কারিগরি বা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা তৈরি হয় সেটাও দূর করা যাবে বলে আমার মনে হয়।
মিশন প্রধান কারমেল জনস্টন বলেন, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অভাব ছিল সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এটা অনেকটা সেই সব রুমমেটের মতো যারা কখনই ঘর ছেড়ে যায় না।