বিশেষ জোনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৭শ’ গ্রাম হেরোইন, ৫৩ হাজার পিস ইয়াবা ও অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করেছেক ক্সবাজারের টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর । এই ঘটনায় মাদক কারবারি চক্রের ৭ জন সদস্যকে পলাতক আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর-ডিএনসি (বিশেষ জোন) উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
এতে ডিএনসি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফর উল্লাহ কাজল, টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফার দিক নির্দেশনায় উপ-পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারীর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল দুপুর ১টা হতে দুপুর ৩টা পর্যন্ত মাদক ও অবৈধ অস্ত্র মজুদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোদারবিলে ইমাম হোসেনের মালিকানাধীন দুই কক্ষ বিশিষ্ট বসতঘরের দক্ষিণ পাশের পূর্ব দুয়ারী টিনের ছাউনি ও টিনের বেড়াযুক্ত জনৈক সাজেদের কক্ষে অভিযান চালিয়ে ৫৩ হাজার ইয়াবা, ৭শ’ গ্রাম হেরোইন, ৩টি বিদেশী পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৩টি ম্যাগাজিন এবং ১শ’ ৪১ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করেছে।
এই ঘটনায় মধ্যম গোদারবিলের আবু সৈয়দের ছেলে আব্দুল্লাহ (২৮), উত্তর লম্বরীর হোছন আহমদের ছেলে কাদের (৩৫), পশ্চিম গোদারবিলের ইমাম হোছনের দুই ছেলে সাহেদ প্রকাশ সাজেদ (২৪) ও শাহ আলম (২০), দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের হোছন লেঙ্গুরবিলের হোছন আহমদের ছেলে সাদ্দাম (২৮), বশির আহমদের ছেলে আনোয়ার (৩৫) এবং কালা মিয়ার ছেলে মো. কাশিমকে পলাতক আসামী করা হয়েছে।
টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা জানান, আসামীরা মূলত মাদক ব্যবসায়ী। টেকনাফ সদরে মাদক মজুদ ও সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিন্ডিকেট ভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারের কৌশল হিসেবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ করছে তারা। এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০)-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় ২টি নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।