বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জন কেরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকে কাপুরুষোচিত বলেছেন । ঝটিকা সফরে বাংলাদেশ এসেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে মহান এই নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে যান তিনি। সেখানে শোক বইয়ে সই করেন জন কেরি। সেখানেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু কথা লিখেন জন কেরি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান নেতাকে হত্যা দেশের মানুষের জন্য ট্র্যাজিক বলেও মন্তব্য করেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নেতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যায় দেশীয় নানা গোষ্ঠীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিল বলেও অভিযোগ আছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণও আছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রকাশ করা সিআইএর গোপন দলিলে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা জানতেন বলেও তথ্য প্রকাশ হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার ৪১ বছর পর মার্কিন নেতা তার স্মৃতির উদ্দেশ্যেই লিখেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মত সাহসী ও মেধাবী নেতাকে কাপুরুষের মত হত্যা করা ছিল বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিরাট এক ট্র্যাজেডি।’
বেলা ১১ টা ৪২ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান জন কেরি। শুরুতেই বাইরে বঙ্গবন্ধুর প্রকিতৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর জাদুঘরের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন ঘুরে দেখেন মার্কিন নেতা।
বাংলাদেশে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন জন কেরি। আর এই উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও ভূয়সী প্রসংশা করেন তিনি। কেরি লিখেন, ‘তারই (বঙ্গবন্ধু) কন্যার দৃঢ় নেতৃত্বে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ। আর যুক্তরাষ্ট্র এই অগ্রগতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে পেরে গর্বিত। বাংলাদেশের শান্তি ও অগ্রগতির জন্য আমরা আরও নিবিঢ়ভাবে কাজ করতে চাই।’