যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় বাংলাদেশে আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করছে বিএনপি। বিকালে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠক শেষে এই আশার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে খালেদা জিয়া যান যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুল ছাড়াও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে। ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন, একই সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত সংকটময় বিষয় সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে কথা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খালেদার সঙ্গে বৈঠকে জন কেরি
বৈঠকে জন কেরি কী বলেছেন, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে, গণতন্ত্রকে, আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে তারা বন্ধুত্ব সহকারে কাজ করতে চান।’
এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশাবাদী মার্কিন সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।’
বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মুখে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যেসব দেশ সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে, তার একটি যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও দেশটির পক্ষ থেকে একাধিকবার তাগাদা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
আওয়ামী লীগ অনেকটাই একতরফাভাবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার পর দেশে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। আর দলের নেতারা নানা সময় তাদের ভাষায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতাও চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা-জন কেরি বৈঠক হচ্ছে
জন কেরির সঙ্গে বিএনপি নেত্রীর বৈঠকেও এই প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, সে বিষয়টি নিয়েও মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চান গণমাধ্যম কর্মীরা। তবে এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি মির্জা ফখরুল তিনি কেবল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে, বিস্তারিত কথাই হয়েছে।’
সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আবারও প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল আবার বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন, জঙ্গিবাদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আপনাদেরকে ধন্যবাদ।’