এই জগতে যারা কাজ করেন তাদের জীবন সিনেমা-নাটকের মতই । প্রেম-ভালোবাসা, বিয়ে-বিচ্ছেদ যেন নিয়মিত ঘটনা। অল্পজনই আছেন যারা বিয়ে ও সংসার নিয়ে সুখে আছেন। নাটক কিংবা সিনেমা পাড়ায় যেমন বিয়ের সানাই বাজে তেমনি বিরহের সুরও শোনা যায়। অভিনেত্রী সোহানা সাবাও তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেন পরিচালক মুরাদ পারভেজকে। কিন্তু বেশিদিন সে বিয়ে টিকেনি। তারপর থেকে তিনি সিঙ্গেল। তিনি কথায় কথায় জানান পুরুষদের নাকি প্রচণ্ড ভয় পান। কিন্ত কেনো সে কথা গোপন রেখেছেন।
নাটক ও সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে একটা সময় খানিকটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। অভিনয় করেছিলেন কলকাতার সিনেমাতে। যদিও এখন তাকে নিয়মিত অভিনয়ে দেখা যায় না। অভিনেত্রীর সমাজমাধ্যমের পাতায় ঢুঁ মারলে বোঝা যাবে, আজকাল ভ্রমণ করেই দিন কাটছে তার।
দীর্ঘদিন ধরে ‘সিঙ্গেল মাদার’ সোহানা সাবা। পরিচালক মুরাদ পারভেজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার দ্বিতীয় বিয়ের খবর শোনা যায়নি।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে নিজের অভিনয়, ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন সাবা। কথায় কথায় জানান, তিনি পুরষদের ভয় পান।
সাবার কথায়, ‘আমি এখন পুরুষদের ভয় পাই। পুরো পৃথিবীতে সত্যিই কি আমার জন্য এরকম কোনো মানুষ আছে, যার সঙ্গে নিশ্চিন্তে বাকিটা জীবন কাটাতে পারব? যদি এরকম কেউ থেকে থাকে আর তার সঙ্গে আজ দেখা হয়ে যায়, তাহলে কালই তাকে বিয়ে করে ফেলতাম।’
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে সোহানা বলেন, “আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘আয়না’ এটি নির্মাণ করেছিলেন দেশের অন্যতম প্রধান নায়িকা কবরী। সেসময় বাবাকে কথা দিয়েছিলাম, একটি মাত্র সিনেমা করব। ২০০৪ সালের কথা। এফডিসি তখন রমরমা। আমার বাবার খুব ভালো লাগে। বাবা তখন বলেছিলেন ‘আয়না’ করো, এরপর আর না। তখন কাটপিসের ব্যাপক ভয় ছিল। এফডিসিতে মাত্র আট দিন শুটিং করেছিলাম আমি। সেইসঙ্গে ওই আট দিনেই ২২টি চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু একটিও আমি করিনি। আসলে ওই মুহূর্তে আর কোনো সিনেমা করার কথা ভাবিনি। শুধু মনে হয়েছিল, একটি সিনেমাই ভালোভাবে শেষ করব।”
শিগগিরই মুক্তি পাবে সোহানা সাবা অভিনীত সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘অসম্ভব’। এটি নির্মাণ করেছেন চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস। মূলত যাত্রাশিল্প এবং যাত্রাশিল্পীদের গল্পে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি।