ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুল জব্বার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ভৈরবের শম্ভুপুর এলাকায় । আহত হয়েছেন সীমা বেগম (২০) ও তোফায়েল আহমেদ (২৫) নামে অপর দুইজন। হতাহতরা সবাই ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আজ সোমবার সকাল ৮ টার দিকে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের মহাসড়কে সামনে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আটক করে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও ঘাতক ট্রাকটিকে। তবে পালিয়ে গেছে অটোরিকশা ও ট্রাকের উভয় চালক।
সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী আজিজুর রহমান ও সাবিকুন্নাহার জানান, ঢাকা যাবার উদ্দেশ্যে আজ সকালে তারা রাজাপুর থেকে নৌকাযোগে ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের মেন্দিপুর আসেন। পরে সেখান থেকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড আসার উদ্দেশ্যে অটোরিকশাটি নিয়ে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে শম্ভুপুর এলাকায় আসলে অটোরিকশাটি অপর একটি অটোরিক্সাকে অভারটেক করে মহাসড়কের মাঝখানে আসলে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জগামী ট্রাকটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে করে অটোরিকশাটির সামনে বসা তাদের মামা আব্দুল জব্বার, আজিজুর রহমানের স্ত্রী সীমা বেগম ও অপর আত্মীয় তোফায়েল আহমেদ গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আব্দুল জব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তোফায়েলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে অটোরিকশাটি এবং তাড়া করে বাজিতপুরের পিরিজপুর থেকে ট্রাকটিকে আটক করা হলেও উভয় পরিবহনের চালক পালিয়ে যায়। হতাহতের পরিবারের আবেদন সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।