স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরমান আলী চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে মারধরের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন। ১০ কেন্দ্র থেকে তার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি বেলুন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
মোহাম্মদ আরমান আলী বলেন, আমি দুপুরের দিকে নগরীর দক্ষিণ কাট্টলীর ফইল্যাতলী বাজারের প্রাণহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই। তখন সেখানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমর্থকরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে টেনে হিচড়ে স্কুলের দ্বিতীয়তলা থেকে নিচতলায় নামিয়ে দেয়। এ সময় তারা আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী ডা. ফজলুল হাজেরা ডিগ্রি কলেজে গেলে সেখানেও আমার ওপর হামলা চালায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। তারা আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আমি দশ কেন্দ্রে এজেন্ট দিয়েছিলাম। তাদের কাউকে দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। সকালেই তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি এবং ভোট বর্জন করেছি। আমি যত কেন্দ্রে গিয়েছি কোথাও নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। শুধু নৌকার ভোটাররাই ভোট দিতে পারছেন। আরমান আলী অভিযোগ করেন, মারধরের পর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে ফোন করে অভিযোগ করলে তিনি আমার বিষয়টিকে পাত্তা দেননি।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, কোনো প্রার্থী আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি।
প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাইকালে আরমান আলীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। কমিশনের আপিলেও তার মনোনয়ন টিকেনি। পরে হাই কোর্টে রিট করে তিনি মনোনয়ন ফিরে পান।