আগ্নে অস্র ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র সহ আনিচুর রহমান তালুকদার (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাউফল থানা পুলিশ পটুয়াখালীর বাউফলে । তিনি কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন অওায়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকুর বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত। শুক্রবার রাতে উপজেলার কেশবপুর কলেজের একটি কক্ষ থেকে এসব অস্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় আনিচকে আটক করলেও দলের বাকী সদস্যরা পালিয়ে গেছেন।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম আরিচুল হক বলেন, ‘রাতে বাউফল থানার টহল টিম ওয়ারেন্ট এর আসামী ধরতে ওই এলাকায় যায়। এ সময় কয়েক জনের উপস্থিতি টের পেলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে এক জনকে ধরে ফেলে। পরে কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের একটি কক্ষে তল্লাসি চালিয়ে ১টি বন্দুক, ১টি পিস্তল, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি চাকু, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি চাবুক ও একাধিক রামদা সহ ২৫টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাউফল থানায় একটি অস্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেফতার আসামীকে আদালতে উপস্থাপন করে জিজ্ঞাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে, এ বিষয়ে তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।’
গ্রেফতার আনিচুর রহমান তালুকদার উপজেলার কেশবপুর এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন এর পুত্র। আনিচ কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু এর ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ৪নং কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান ও ইউনিয়ন অওায়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন ওই ছেলে টা একটা ভদ্র ছেলে ও নির্দোষ। ও আসলে ওখানে দেখতে গেছিল। আমি ওই কলেজের এখন আর অধ্যক্ষ নেই। দুই মাস আগে আমি রিটায়ার্ড করেছি। হয়তো কেউ আমাকে ফাসানোর জন্য ওখানে অস্র রেখেছে। অথবা আমাকে খুন করার জন্য কেউ অস্র মজুত করেছিলো।আমরা ভদ্র মানুষ অস্রের রাজনীতি করি না। আনিচ অঅমার বাড়ির ছেলে এবং ভালো একটি ছেলে।’