পুলিশ টেকনাফে অপহরণের একদিন পর মাদরাসা ছাত্রী ফারিহা জন্নাতের (৮) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে উপজেলার হ্নীলা দারুস্ সুন্নাহ মাদাসা সংলগ্ন ডাস্টবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজারের ছানা উল্লাহর মেয়ে ও হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ফারিহা জান্নাতকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তারপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি তার। রাতে হঠাৎ একটা অপরিচিত কল আসে। সে কলে মেয়ের মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। গতকাল বিকেলের দিকে তার মাদরাসার পাশের ডাস্টবিন থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র্যাবের একটি দল ওই শিশুর লাশটি উদ্ধার করে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে।
নিহত শিশুর মা জেসমিন আক্তার জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে হ্নীলার পশ্চিম সিকদারপাড়ায় তার বড় মামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তার মুঠোফোনে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনার পর রাতে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, র্যাব ও পুলিশ অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য পৃথকভাবে অভিযান চালিয়েছে। ঘটনার ২৩ ঘণ্টা পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।