এই দিন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শিয়া মুসলিমরা তাজিয়া মিছিল করেন। আজ পবিত্র আশুরা। তারা মহরমের প্রথম দিন থেকে এই মিছিলের প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে শনিবার তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসেনি দালান ইমামবাড়া থেকে আজ শনিবার সকাল ১০টায় পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বকশীবাজার, নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডি লেকের পার্শ্ববর্তী সীমান্ত স্কয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয় । মিছিলে শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছেন।
এদিকে আশুরার দিন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন।
তিনি বলেন, ‘১ মহররম থেকে আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আজ ১০ মহররম আশুরার মিছিলকে কেন্দ্র করে আটশোর বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া সোয়াট ও র্যাবসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছে।’
এর আগে সকাল ৯টা থেকেই পুরান ঢাকার ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা হোসেনি দালানে জড়ো হতে থাকেন। তাজিয়া মিছিলে শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষরা অংশ নিয়েছেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়া ও এর আশেপাশের শিয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রবেশ পথসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করছেন। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন সোয়াট সদস্যরাও।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হোসেনি দালানে তাজিয়া মিছিলের মহড়া দিয়েছেন শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। এরপর সকাল ১০টায় হোসেনি দালান থেকে মিছিল বের হয়েছে। মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ হয়।
এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, ফরাশগঞ্জ, পল্টন, মগবাজার থেকেও তাজিয়া মিছিল বের হয়। এর মধ্যে হোসনি দালান থেকে সবচেয়ে বড় মিছিল বের হয়।
এ মিছিলে হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশুর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। লাল-কালো আর সবুজ অক্ষর-খচিত নিশান হাতে তারা খালি পায়ে মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমে শোকের আবহ ছড়িয়ে পড়ে রাজপথে।