সৃষ্ট সংকটের অবসান হয়েছে সমাবেশস্থল নিয়ে পুলিশের আপত্তিতে । গত দুই দিনের নাটকীয়তায় উত্তাপ ছড়িয়ে বিএনপিকে রাজধানীতে মহাসমাবেশের জায়গা দিয়েছে পুলিশ। ২৩ শর্তে অনুমতি পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে দলটি। অপরদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগও এদিন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি রাজপথে শক্তির মহড়া দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপি রাজপথেই চূড়ান্ত ফয়সালা করার কথা বলছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রশ্নে সংবিধানের বিদ্যমান ব্যবস্থার বাইরে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। এমতাবস্থায় নিজেদের দাবির পক্ষে আজ রাজধানীর রাজপথের নিয়ন্ত্রণ নিতে দুই দলই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করবে। সমমনা ৩৬টি দলও একই দাবিতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করবে। এছাড়া চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের যুব সংগঠনও সমাবেশ করবে রাজধানীতে। সবমিলে আজ সমাবেশের নগরীতে পরিণত হবে ঢাকা।
গত ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করা ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ থেকে ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের জন্য জায়গা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দেয় দলটি। অন্যদিকে বিএনপির মহাসমাবেশের দিনে তিন সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় শাসক দল।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার জনদুর্ভোগ এড়াতে সমাবেশের ভেন্যুর জন্য বিকল্প প্রস্তাব দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিএনপিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পাশে গোলাপবাগ মাঠে এবং শাসক দলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠ অথবা মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ করার কথা বলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো মহাসমাবেশের ঘোষিত তারিখ এক দিন পিছিয়ে শুক্রবার করার ঘোষণা দেয়। অন্যদিকে বিএনপির সমাবেশের সময় পাল্টানোর পর আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শুক্রবার সমাবেশের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।
পুলিশের বিকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের সমাবেশ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলা মাঠে করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার এই স্থানের পাশেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিচারপতিদের নিয়ে রাষ্ট্রপতির একটি অনুষ্ঠান থাকায় দলটি আবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই সমাবেশ করতে চায় বলে দলটির সহযোগী সংগঠনের কয়েক নেতা জানান। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, ২৩টি শর্তে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপিকে রাজধানীর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপি কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড় থেকে রাজারবাগ মোড় পর্যন্ত সমাবেশ করতে পারবে। আর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে মহানগর নাট্যমঞ্চ পর্যন্ত সমাবেশ করবে। এই সীমানার মধ্যেই মাইক স্থাপন করতে পারবে তারা। সমাবেশে ব্যাগ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আসা যাবে না।
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপির সমমনাদের মধ্যে বিকাল ৩টায় গণতন্ত্র মঞ্চ পুরানা পল্টন মোড়ে, ১২ দলীয় জোট ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের কাছে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিজয়নগরে আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে, গণফোরাম-পিপলস পার্টি আরামবাগে গণফোরাম চত্বরে, এলডিপি পূর্ব পান্থপথে, গণ অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, গণ অধিকার পরিষদ (নূর) ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে, বাংলাদেশ লেবার পার্টি বিজয়নগরে, এনডিএম মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ারের সামনে ও সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ শাহবাগের মোড়ে সমাবেশ করবে। এছাড়া সকাল ১০টায় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে।
বিএনপি সূত্র জানায়, দুই দিনের টানাপড়নের পরও সমাবেশের অনুমতি পাওয়ায় বিষয়টিকে বিএনপি তাদের আন্দোলনের সফলতা হিসেবে দেখছে। অনুমতি পাওয়ার পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতারা সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। বৈঠকে দলের নেতারা মনে করেন, সরকার চাপে পড়ে অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে। বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ইতিবাচক ভূমিকার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মহাসমাবেশের নিরাপত্তা রক্ষায় যথাযথ সহযোগিতা করবেন। সমাবেশের আসার পথে জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেবেন না।
মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সে দিকে এখন সবার দৃষ্টি। দলের নেতারা বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবেন। সমাবেশ থেকেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেবেন। গত দুই দিনের পরবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে পারে। অবশ্য, দলের শরিকদের কয়েকটি দল বিএনপিকে মহাসমাবেশ থেকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়ে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে থাকতে পারে বিক্ষোভ, সমাবেশ, অবস্থান ও ঘেরাও কর্মসূচি। আগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকায় একইদিন একাধিক স্থানে সমাবেশের কর্মসূচিও আসতে পারে। তবে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের কারণে এক দফার কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত রাখবে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা। ২০ আগস্ট থেকে ফের লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। মূলত টানা অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে চায় দলটি। সবমিলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সংকটের ফয়সালা করতে চান দলের নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করবে ততক্ষণ রাজপথে আন্দোলন চলবে।
এদিকে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর বিকাল থেকে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। তবে বুধবার রাতে পুলিশের অভিযানে দলের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করতে বলা হয়। পুলিশও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক ছিল। ফলে সেখানে নেতাকর্মীদের জমায়েত বড় হয়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, রাতে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি ও মাইক লাগানোর কাজ চলছিল।
জানা গেছে, বিএনপি থেকে সব মহানগর ও জেলায় চিঠি দিয়ে নেতাকর্মীদের আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে কেন্দ্রের নির্দেশে মঙ্গলবারই অনেক জেলা থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেন। তবে বুধবার রাতে পুলিশের অভিযানে জেলা পর্যায়ের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হন। বৃহস্পতিবার সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাজশাহী, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলা নেতাদের সঙ্গে কথা হয়। তবে পুলিশের কড়াকাড়ির কারণে তারা সেখানে বেশিক্ষণ অবস্থান করতে পারেনি। বিএনপি নেতারা জানান, ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে আজ নেতাকর্মীরা সমাবেশে অংশ নেবেন। অন্যান্য জেলার অধিকাংশ নেতাকর্মী ঢাকায় আছেন।
এদিকে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর সরকারবিরোধী দল হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠা ইসলামী আন্দোলন বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণভাবে পুরানা পল্টনে সমাবেশ করেছে। বিএনপির সমাবেশের দিন ২৭ জুলাই তারাও সমাবেশ ডেকেছিল। আজও তারা তাদের যুব সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ করবে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে। এছাড়া বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে সরকার পদত্যাগের দাবিতে এবি পার্টি সকাল সাড়ে ১১টায় সমাবেশ করবে বিজয়নগর সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে।
অন্যদিকে আজ রাজধানীতে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। গত ডিসেম্বর থেকেই ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল ঢাকাসহ সারা দেশে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিএনপিসহ বিরোধীরা কর্মসূচি ঘোষণা করলে সেদিন রাজপথে কর্মসূচি রাখছে ক্ষমতাসীন দলও। এবারেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, মূলত রাজপথ দখলে রাখার পাল্টা কৌশল হিসেবে তাদের তিন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন সমাবেশ ডেকেছে। এদিন পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও আজ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। বিএনপি যাতে ঢাকা অচল করতে না পারে সে জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিন আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মাঠে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হতে বলেছেন। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, কোনো পরিস্থিতিতে রাজপথের দখল ছাড়বে না ক্ষমতাসীনরা। দলটি মনে করে, সরকারের পতন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুলের লক্ষ্যেই বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে।
২০১৩ সালের মে মাসে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর যে চেষ্টা চালিয়েছিল তাও মাথায় আছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের। এসব বিষয় সামনে রেখেই ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের দিন তিন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের ব্যানারে পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক জমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দফায় দফায় চলেছে প্রস্তুতি সভা। মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলটির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে মহানগরের প্রতিটি অলিগলিতে সতর্ক নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা বিভাগের সব জেলা থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলা থেকে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের কমপক্ষে শতাধিক বাস ছেড়ে আসবে ঢাকায় মহাসমাবেশের উদ্দেশে। বাসগুলো যাতে নেতাকর্মী দ্বারা ভর্তি থাকে, এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিভাগ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসবেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে রাজধানীর কোনো স্থানে অবস্থান নিতে না পারেন সেজন্য মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে পাহারায় থাকবেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।