এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন নগরীর বন্দর থানাধীন কাস্টম ব্রিজ এলাকায় লরির কন্টেনার চাপায়। নগরের দুই নম্বর গেট এলাকায় আরেক পুলিশ সদস্যকে পিষে মারার ১৫ দিনের মাথায় ঘটনাটি ঘটলো। এ ঘটনায় লরির চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের কাস্টম ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সার্জেন্ট মো. ইমরান উদ্দীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত নূরে আলম বন্দর ডিভিশনের ট্রাফিক কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মজলিশপুর এলাকায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– লরি চালক শামীম খান (২৮) ও হেলপার মো. সেলিম ওরফে লিটন (৩৬)।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, নগরের বন্দর থানাধীন কাস্টম ব্রিজ এলাকায় একটি বেপোরোয়া লরি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাত হয়ে যায়। এ সময় গাড়ির ওপর থাকা একটি পণ্যভর্তি কন্টেনার ছিটকে পড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নূরে আলমের ওপর। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ র্যাকার দিয়ে একঘণ্টা চেষ্টার পর কনটেইনার সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক লরিটি আটক করলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে গাড়িটি তল্লাশি করে শামীম খানের নামে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা এলাকা থেকে শামীম খানকে গ্রপ্তার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সময় হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানোর বিষয়টি স্বীকার করেন শামীম। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, ফেনীর সোনাগাজি এলাকা থেকে হেলপার লিটনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত শামীমের লাইসেন্সটি হালকা যানের হলেও তিনি ভারী যান চালাচ্ছিলেন। ঘটনার সময় লরিটি হেলপার লিটনকে চালাতে দিয়েছিলেন শামীম।