দুই বাসের মুখোমুখী সংঘর্ষের পর একটি বাস ছিটকে গিয়ে ডোবাব পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে গৌরনদীর আশোকাঠীতে মঙ্গলবার দুপুরে । ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় নিমজ্জিত বাসটির ভেতরে থাকা নারী শিশুসহ অন্তত ১৩জন বাসযাত্রী আহত হয়েছে। আহতদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, আহত বাসযাত্রী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানাগেছে, রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী ইলিশ পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৯৬৩৯ নম্বরের একটি বে-পরোয়া গতির যাত্রীবাহী এসি বাস মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী এলাকা অতিক্রম করছিল।
এ সময় বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৪৮০৮ নম্বরের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ইলিশ পরিবহনের যাত্রীবাহী এসি বাসটি ছিটকে মহাসড়কের পার্শবর্তি একটি ডোবার পানিতে পড়ে নিমজ্জিত হয়। আর শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ছিটকে মহাসড়কের ঢালে একটি গাছের সাথে আটকে যায়। ফলে শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীদের কেউ আহত না হলেও ডোবার পানিতে নিমজ্জিত ইলিশ পরিবহনের এসি বাসটির ভেতরে নারী শিশুসহ অন্তত ২০জন যাত্রী আটকা পড়ে। খবর পেয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের একটি টীম, গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী মিলে নিমজ্জিত এসি বাসটির গ্লাস ভেঙ্গে আহত যাত্রীদেরকে বের করে আনে।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকগন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহত ইলিশ পরিবহনের অন্তত ১৩জন বাসযাত্রীকে সেখান থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত এক শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ গোলাম রসুল মোল্লা মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারগন পালিয়ে গেছেন। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে বাস দুটিকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে এ ঘটনায় আইনগত ব্যাবস্থা গহন করা হবে।