বিশ্বব্যাপী তোলপাড় চলছে শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিত ডেনমার্কে বার বার পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় । একবার কিংবা দুই বার নয় বার বার এই ঘটনা ঘটছে। তা আবার আদালতের অনুমতি নিয়ে পুলিশ পাহারায়। এই নিয়ে জাতিসংঘ পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারপর কোরআন পোড়ানো থামছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতদের বহিস্কার করা হচ্ছে। বিক্ষোভে উত্তাল মুসলিম বিশ্ব। নিন্দা জানাচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্র। ডেনমার্ক সরকার একদিকে নিন্দা জানাচ্ছে অন্যদিকে কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দিচ্ছে।
এদিকে ডেনমার্কে পবিত্র কোরআনেন ওপর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার ইসলামবিরোধী এবং উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্য পরিচিত প্রান্তিক একটি দল ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস দুই কপি কোরআনে অগ্নিসংযোগ করেছে।
ঘটনা দুটি ঘটানো হয় যথাক্রমে কোপেনহেগেনের ইরানি দূতাবাস ও ইরাকি দূতাবাসের সামনে।
পোড়ানোর সময় দলটির সদস্যরা ইসলামকে অপমান করে স্লোগান দেয়, ইরানি পতাকা ও কোরআনকে পদদলিত করে, তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়।
তারা তাদের সামাজিক মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলোতে সেগুলোর লাইফ-স্ট্রিম করে।
ড্যানিশ প্যাট্রিয়াটস দাবি করে তাদের গ্রুপ এবং সমর্থকদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিয়ে ইরানি ঘোষণার প্রতিবাদে তারা এ কাজ করেছে।
গ্রুপটির সদস্যরা এরপর ইরাকি দূতাবাসের সামন এসে আবারো ইরাকি পতাকা ও কোরআনে অগ্নিসংযোগ করে। এখানেও ইসলামকে অবমাননা করে তারা বক্তৃতা করে।
সাংবাদিকরা ঘটনাগুলোর ওপর নজর রাখে এবং পুলিশ তাদেরকে কড়া নিরাপত্তা প্রদান করে।
যে গ্রুপটি শনিবার কোপেনহেগেনে ইরাকি দূতাবাসের সামনে কোরআন পুড়িয়ে দিয়েছিল, তারা কোপেন হেগেনে এর আগে তুর্কি পতাকা ও কোরআনে অগ্নিসংযোগ করেছিল।
ডেনমার্ক শনিবার কোরআন পোড়ানোর নিন্দা করেছে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর