ব্রাসেলসে তুরস্ক ও সুইডেনের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৬ জুলাই । এর আগে গতকাল মুসলিমদের পবিত্র আল কোরানের কপি আগুন দিয়ে সুইডেনের এক নাগরিক। তাও আবার সরকারের অনুমতি নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রধান মসজিদের সামনে। এতে চরম অসহায় অবস্থায় রয়েছেন সেখানকার মুসলিমরা। আর এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দা জানিয়ে মুসলিমরা। তুরস্ক বলেছে এমন ঘৃণ কাজ কোনো সভ্য মানুষের দ্বারা সম্ভব না।
সুইডিশ পুলিশের অনুমতি নিয়ে স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বারে এক ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের বেশ কয়েকটি পৃষ্ঠায় অগ্নিসংযোগ করেছে। ঈদুল আজহার প্রেক্ষাপটে ওই লোকটি এ কাজটি করল। তুরস্ক সাথে সাথে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, তুরস্কের ভেটোর কারণে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে পারছে না সুইডেন
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই ঘটনাকে ’ঘৃণ্য’ কাজ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন যে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অজুহাতে এসব অনৈস্লামিক কাজ অনুমোদন গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের নৃশংস কাজের প্রতি চোখ বন্ধ করে থাকাটা অন্যায়।’
তুরস্ক দাবি করে আসছে যে ন্যাটোর সদস্যপদ প্রাপ্তির আগে সুইডেনকে ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত কুর্দি গ্রুপগুলোর ওপর দমন অভিযান চালাতে হবে।
আগামী ৬ জুলাই ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদরদফতরে দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা বৈঠকে বসবে।
পুলিশ লিখিতভাবে জানিয়েছে, কোরআন পোড়ানোর সাথে তেমন কোনো নিরাপত্তা ইস্যু না থাকায় তাকে এ কাজ করতে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
যে ব্যক্তিটি কোরআন পুড়িয়েছে, তার নাম স্যালওয়ান মমিকা। তার বয়স ৩৭ বছর। সে কয়েক বছর আগে ইরাক থেকে সুইডেনে আসে। সে জানায়, কোরআন সম্পর্কে আমার অভিমত প্রকাশের জন্য গ্রন্থটি পোড়াব। এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। যদি এটা করতে না দেয়া হয়, তবে গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত হবে।
কোরআন পোড়াোর সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিল। এছাড়া বেশ কয়েকজন বিরোধী তাকে আরবি ভাষায় গালাগাল করে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।
সুইডেনে আগেও কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল