লঙ্কা কাণ্ড ঘটে যায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম ছেলেদের সঙ্গে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে নিয়ে । সম্প্রতি এক তুরনী মুসলিম তরুণ বিয়ে করায় তার বাবা ও ভাই দুইজনকে হত্যা করে লাশের সঙ্গে পাথর বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে আরেক ঘটনায় মেয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় মেয়ে সাদ্য করে পরিবার এবং মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের কাছে শোকবার্তা পাঠায়। এবার ঘটেছে আরো ব্যক্তিক্রম ঘটনা। মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় মেয়েকে থানায় ডেকে এনে পুলিশের উপস্থিতিতে কাফনের কাপড় পড়িয়ে মৃত্যু ঘোষণা করা হয় বাবা। এই ঘটনায় দুই পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়।
জানা যায়, ভারতের মধ্যপ্রদেশে মেয়ে এক মুসলিম তরুণকে বিয়ে করে নিজেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রেক্ষাপটে বাবা তার কন্যাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। থানার মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে তিনি ‘কাফনের’ প্রতীক হিসেবে তিনি মেয়েকে সাদা কাপড়ে ঢেকে দেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মন্দসাপুর জেলায়। গত সপ্তাহের এ ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। এতে দেখা যায়, মেয়েকে কাফনের কাপড় পরানোর সময় বাবা বলছেন, ’সে এক মুসলিমকে বিয়ে করেছে। এই ঘটনা পরিবারের জন্য লজ্জার। সে আজ থেকে আমাদের কাছে মৃত।’
পরে মন্দসাউরের জেলা এসপি অনুরাগ সুজানিয়া নাহারগড় থানায় কর্তৃব্যরত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ও দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
পুলিশ জানায়, পরিবারটি কয়েক দিন আগে তাদের মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিল। পরে তাকে খুঁজে পাওয়া গেলে তাকে ২৫ জুন হাজির হতে বলা হয়। বাবাও থানায় আসেন। তখনই তিনি তার মেয়েকে কাফনের কাপড় পরিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, মেয়েটি দাবি করেন যে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং মান্দসাউরের বাসিন্দা সহিল মানসুরিকে বিয়ে করেছেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে জাবালপুর জেলাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করায় এক পরিবার তাদের মেয়েকে মৃত ঘোষণা করে। তারা এখানেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা মেয়েটি জীবিত থাকা সত্ত্বেও মৃতের শ্রাদ্ধ হিসেবে ’পিণ্ডিদান’ ও ‘মৃত্যু-ভোজ’ও আয়োজন করে। এছাড়া পরিবারটি তাদের স্বজনদের তাদের কন্যার ‘মৃত্যুর’ কথা ঘোষণা করতে তাদের কাছে শোক-কার্ড পাঠায়।