বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করলেন,আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে, এই প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক । গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুই পক্ষের বৈঠক চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। এ সময় কুকের সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর টিমোথি ডকেট। ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। বৈঠকের পর আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ, সরকার গঠন হবে– এই কনসার্ন ব্রিটিশ সরকারের সব সময় ছিল। আমরা ওয়েস্ট মিনস্টার (ব্রিটেনের পার্লামেন্টারি সরকার ব্যবস্থা) ফলো করি। এই বিষয়গুলোই আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’ খবর বিডিনিউজের।
খসরু বলেন, ‘নতুন করে আজকে বলার কিছু নাই। আমরা একটা কথা বারবার বলছি যে, গণতন্ত্রকামী দেশ যেগুলো আছে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা মানবাধিকারে–আইনের শাসনে, জীবনের নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেৃ সবারই কনসার্ন একটা জায়গায়। পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে একটা নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন। সেটা বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা, তাদেরও (পশ্চিমা শক্তি) একই প্রত্যাশা।’ বিদেশিরা নির্দলীয় সরকার নিয়ে কোনো কথা বলছে না বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য তুলে ধরা হলে আমীর খসরু বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া হবে না, এটা কে না বোঝে বাংলাদেশে?’
তিনি বলেন, ‘গত এক সপ্তাহের প্রেক্ষাপটটা যদি ব্যাখ্যা করি, কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কতজন আহত হয়েছে, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, কত মামলা হয়েছে, কোথায় কোথায় ডিসি পোস্টিং হচ্ছে, কোথায় কোথায় পুলিশ অফিসার পোস্টিং হচ্ছে, কোথায় কোথায় টিএনও পোস্টিং হচ্ছে– নির্বাচন ছয় মাস পরে। কিন্তু ভোট চুরির প্রকল্প অ্যাকটিভভাবে চলছে। গত এক সপ্তাহে চলছে, গত ছয় মাসে চলছে, তার আগেও চলছে– এটার কোনো পরিবর্তন কেউ দেখতে পাচ্ছে না। এজন্য বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু।