চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বিএনপি ও তার কথিত মিত্রদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন আর প্রতিবাদ সভা করব না, এবার সরাসরি অ্যাকশন : নাছির, আমরা অনেক সহশীলতা ও ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছি। গত বুধবার চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে পরিকল্পিত ন্যাক্কারজনক হামলা ও ভাঙচুর প্রমাণ করে যে, এই অপশক্তিকে আর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার কোনো সুযোগ আর দেয়া হবে না। চট্টগ্রাম –১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে বিএনপি জামায়াতের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের পূর্ব পরিকল্পিত হামলা ও ভাঙচুর এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। তাদের জানা উচিত এই আগুনে নিজেদের হাতই পুড়বে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে সভা সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিএনপি ও তার মিত্ররা এই উদারতাকে দুর্বলতা ভাবছেন। তারা নাশকতা ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলতে চাই নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির কুমতলবে তাদেরকে আর কোনও সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা আর প্রতিবাদ সভা করবো না, এবার সরাসরি অ্যাকশনে নামবো।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নোমান আল মাহমুদ এমপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য ড. নিছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, চট্টগ্রাম–১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা সফর আলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জাফর আলম চৌধুরী, পেয়ার মোহাম্মদ, সৈয়দ আমিনুল হক, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, বখতেয়ার উদ্দীন খান, মহব্বত আলী খান, আব্দুল লতিফ টিপু, মো. জাবেদ, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ, দেবাশীষ নাথ দেবু, আজিজুর রহমান আজিজ, ইমরান আহমেদ ইমু, জাকারিয়া দস্তগীর সহ ১৫টি থানা ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।