গণঅধিকার পরিষদ কার্যত দুইভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না পাওয়া রাজনৈতিক দল । এক পক্ষে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর-রাশেদ। অন্য অংশে আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া-ফারুক ও তারেক। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বিরোধ চলছে। গতকাল একটি সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। এ সব ঘটনায় দলের সাধারণ কর্মী সমর্থকরা বিব্রত বোধ করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রহমানের ওপর হামলার অভিযোগে নুরুল হক নুরসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলায় এক নম্বর আসামি সাইফুল ইসলাম (২৮), দুই নম্বর আসামি ঢাকা মহানগর উত্তরের শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি মাহবুবুল হক শিপন (৪০) এবং তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে নুরুল হক নুরকে (২৮)। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তারেক।
এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর কালভার্ট রোডের জামান টাওয়ারে অবস্থিত দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পার্কিংয়ে হামলার শিকার হন তারেক।
সংগঠনটির একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের খালাতো ভাই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তার ওপর হামলা চালায়। হামলার পর সংগঠনটির নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী যুবঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ইমরান নাজির বলেন, তারেক ভাই আমার সঙ্গেই ছিল। নুর ভাইয়ের খালাতো ভাই সাইফুল তাকে ডেকে নিয়ে ১০-১২ জন মিলে মারধর করে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা ফারুক হাসান বলেন, কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের সঙ্গে সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরের খাবার খাওয়ার পর বিকেলে তারেক বাসার উদ্দেশে বের হন। এ সময় তার সঙ্গে আমাদের দুই যুবনেতা ইমরান ও নাদিমও ছিলেন। জামান টাওয়ারের পার্কিংয়ে গিয়ে বাইক বের করার সময় নুরের খালাতো ভাই সাইফুলের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন তারেকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে কিল-ঘুষি দেওয়াসহ মাথায় আঘাত করে। পরে আমরা তারেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।