ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের ৭৮টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে রাজধানীর বনানী-গুলশান এলাকায় । আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো অতি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
ঢাকা-১৭ আসনে সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ব্যালটের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত করতে ভোট দিচ্ছেন গুলশান-বনানীর বাসিন্দারা।
ভোট সুষ্ঠু করতে ইতোমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে অন্যতম তিন প্রার্থীকে এগিয়ে রাখছেন স্থানীয় ভোটাররা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক মোহম্মদ এ. আরাফাত, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান। তাদের তিনজনের মধ্যে মূল প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করছেন ভোটাররা।
উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্য প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন— জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন।
ইসির তথ্যানুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড নং ১৫, ১৮, ১৯, ২০ এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে ঢাকা-১৭ আসন গঠিত। এ উপনির্বাচনে সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র পাহারায় ২১ জনের পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন করবে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। তবে অঙ্গীভূত আনসার পাঁচদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের ১৫টি, র্যাবের ৬টি টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ২৫ জন নির্বাহী ও ৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।