বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব সংবিধানের বর্তমান কাঠামোয় কোনো পরিবর্তন না এনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই । ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের এটাই জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে ঢাকার শেরাটন হোটেলে ইইউর প্রাক–নির্বাচনী অনুসন্ধানী দলের সঙ্গে দেড় ঘণ্টাকাল বৈঠকের পর এ কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, এখানে মূলত একটা ব্যাপারে আমাদের অঙ্গীকার তাদের (ইইউ) চাওয়া, সেটা হলো বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন তারা চান এবং আমরাও বলেছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সম্ভব।
সংবিধানের বাইরে গিয়ে অন্য কোনোভাবে নির্বাচনের কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে কাদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা একটি নির্বাচন দেখতে চায়। তারা নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে আশ্বস্ত হয়েছেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বাংলাদেশে প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবিরে মতভেদের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ সফরে এল ইইউ প্রতিনিধিদলটি। ৮ থেকে ২৩ জুলাই এ সফরে মূল নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিঙ ও নিরাপত্তা বিষয়ে মূল্যায়ন করবে এই মিশন। এর অংশ হিসেবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
বিএনপির বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে আমরা বললাম। বিএনপির সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা নিয়ে আমরা কেন বিতর্ক করতে যাব? সেটা তাদের ব্যাপার। বিরোধ অবসানে সংলাপের কোনো বিষয়ও ইইউর সঙ্গে আলোচনায় আসেনি বলে জানান তিনি। সংলাপ নিয়ে প্রতিনিধিদল কোনো কথা বলেনি। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা সংসদ বিলুপ্তির বিষয় নিয়েও প্রতিনিধিদল কোনো কথা বলেনি।
বাংলাদেশের সংবিধান ও বিধি–বিধান অনুসারে আগামী নির্বাচন হবে, বলেন ওবায়দুল কাদের; যার অর্থ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার হচ্ছে না। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। এখানে পার্লামেন্ট বিলুপ্তির প্রশ্নই উঠে না। সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই উঠে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নই উঠে না।
রিকার্ডো শেলেরির নেতৃত্বে ইইউর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করে। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ জমির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম ও মোহাম্মদ এ আরাফাত।