সিএনজিচালিত অটোরিক্সা রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গিয়ে শফিউল আলম জিহাদী (৬০) নামে ১ জন নিহত ও ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া এলাকায় ।
আজ শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া কেবি কনভেনশন এলাকায় সংঘটিত ঘটনায় আহত মারুফা আক্তার(৯)কে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার সকালে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া কেবি কনভেনশন এলাকায় বাঁশখালীর দক্ষিণ দিক উত্তর দিক চট্টগ্রামগামী সিএনজিচালিত অটোরিক্সা রাস্তা পার হওয়া মারুফা আক্তার(৯)কে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে গিয়ে খাদে পড়ে যায়।
এ সময় গাড়িতে চালক সহ ৪ যাত্রী ছিলেন। গাড়ির নিচে পড়ে যাওয়ায় যাত্রীরা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
আহতদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার সময় আহত শফিউল আলম জিহাদী(৬০)-এর মৃত্যু হয়। তিনি পেকুয়া উপজেলার ছিরাদিয়া ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার নুরুল হুদার পুত্র বলে জানা যায়।
অপরদিকে আহত মারুফা আক্তারকে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সে বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চেচুরিয়া এলাকার নাছির আহমদের কন্যা।
ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী মো. ফোরকান (৩৩) বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সরল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জালিয়াঘাটা এলাকার লাতু মিয়ার পুত্র।
এ ঘটনায় অটোরিক্সা চালক আবদুর রহিম (৩০) আহত হলেও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
অপর আহত যাত্রীরা ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে আহত যাত্রী ব্যবসায়ী মো. ফোরকান বলেন, “আমি চালকের পাশে ছিলাম। মেয়েটি রাস্তা পার হওয়ার সময় চালক হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পাশের খাদে ফেলে দেয় গাড়িটি। আমার গায়ের উপর পড়লেও আমি মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছি।”
এ ঘটনায় নিহত শফিউল আলম জিহাদী (৬০) চট্টগ্রামে একটি মসজিদে চাকরি করতেন বলে জানায় তার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে মো. মিনহাজ ইউসুফ মিয়া।
সে আরো জানায়, আজ সকালে তার বাবা-মা সহ বাঁশখালীতে এক হজুরের কাছে আসে। সেখানে মা সহ তাদের রেখে তার বাবা সাতকানিয়ায় এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতাল এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হীরক কুমার পাল জানান, সড়ক দুঘর্টনার ঘটনায় ৩ জন হাসপাতালে আসলে ১ জন মারা যায়। একজনকে চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে। ফোরকান নামে একজন ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে, ঘটনার পর পর বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত ও আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন।
উল্লেখ্য, বাঁশখালীর একমাত্র সড়কটি সরু হওয়ায় অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল করায় প্রায় সময় দুঘর্টনা সংঘটিত হয়। তাছাড়া অধিকাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন এবং চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সাধারণ জনগণের অভিযোগ।