লিঙ্গ পরিবর্তন নিষিদ্ধ করে একটি আইন পাস করেছে রাশিয়ার পার্লামেন্ট । শুক্রবার পাস হওয়া এই আইনের প্রতি সব গ্রুপ ‘সর্বসম্মতভাবে’ একমত প্রকাশ করে বলে ডুমার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
স্টেট ডুমার চেয়ারপারসন ভাইচেস্লাভ ভোলোডিন সামাজিক মাধ্যমে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাদের নাগরিকদের এবং আমাদের সন্তানদের সুরক্ষা দেবে।’
তিনি লিঙ্গ পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান উন্মাদনার কথা উল্লেখ করে বলেন যে এটি দেশের প্রজন্মকে শেষ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
আইনে বলা হয়েছে, শারীরিক সমস্যায় থাকা শিশুদের বাদ দিয়ে অন্য কারোরই লিঙ্গ পরিবর্তনবিষয়ক সার্জারি করা যাবে না। তাছাড়া সরকারি ইস্যু করা নথিপতে লিঙ্গ পরিবর্তন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে আইনটি কার্যকর করার আগে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস হতে হবে এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুমোদন লাগবে।
ডুমা জানিয়েছে, নতুন আইনটির ফলে রাশিয়ার ট্রান্সজেন্ডার লোকদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। কারণ ইতোমধ্যেই লিঙ্গ পরিবর্তনকারী লোকজন সন্তান দত্তক নিতে পারবে না এবং তাদের বিয়েও বাতিল হয়ে যাবে।
ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই রাশিয়া বেশ কিছু রক্ষণশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, বিশেষ করে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। রুশ কর্তৃপক্ষ তাদের আচরণকে বিচ্যুতি এবং পাশ্চাত্য-প্রভাবিত মনে করে।
গত নভেম্বরে রুশ আইনপ্রণেতারা সকল ধরনের ‘এলজিবিটিকিউ প্রপাগান্ডা’ নিষিদ্ধ করে। আর রাশিয়ার এফএসবি নিরাপত্তা সার্ভিস চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করেছে যে তারা একজন ট্রান্সজেন্ডার রাইটস অ্যাক্টিভিস্টকে গ্রেফতার করেছে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অপরাধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে সমর্থন করছেন।
এদিকে প্রকাশকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভ্লাদিমির নাবোকোভের ‘ললিতা’র মতো ক্লাসিকগুলোর মুদ্রণ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
পুতিনের অধীনে ক্রেমলিন ও অর্থোডক্স চার্চের মধ্যকার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। উল্লেখ্য, অর্থোডক্স চার্চ ঐতিহ্যবাহী সামাজিক মূল্যবোধ বিকাশে সোচ্চার এবং পাশ্চাত্য সমাজগুলোর প্রভাবের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ