হাইকোর্ট রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি পানাগিয়া কানালার বিরুদ্ধে গত বুধবার দেওয়া আটকাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন । ফলে এখন কয়লা খালাসে আর বাঁধা থাকলো না।
শনিবার (১৫ জুলাই) সম্পূরক কার্যতালিকা প্রকাশ করে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ১২ জুলাই বুধবার এই জাহাজের নামে দুই কোটি ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৮২ দশমিক ৬৬ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে চায়নার সিসিএক্স শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. আবুল হাসানের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী আটকাদেশ দেন।
ওই আদেশের পরদিন বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই জাহাজের এনওসি স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহিন মজিদ জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি পানাগিয়া কানালার বিরুদ্ধে আটকাদেশ দিয়েছেন।
পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত জাহাজটি যাতে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্টকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরে উচ্চ আদালত থেকে জাহাজটিকে অবমুক্তির নির্দেশনা দিলে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেড খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, উচ্চ আদালত জাহাজটির বিরুদ্ধে আটকাদেশ দিয়েছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এমন একটি চিঠি দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাহাজটির খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। কয়লাগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বহির্নোঙর হাড়বাড়িয়া ১১-তে ভেড়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি।