গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমের সরকারের পতন ঘটাতেই হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি দিচ্ছে না দলটি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন। নোয়াখালীতে পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বিএনপি মিছিল, সভা-সমাবেশ করলেও হরতাল অবরোধ করেনি। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ সরকারকে ফেলে দিবে, সরকারের সবগুলো দপ্তর দখল করে নেব।
শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পদযাত্রার সমাবেশে অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্দলীয় সরকার থাকলে আওয়ামী লীগের ভাত নেই। তারা বলে নির্বাচন তাদের অধীনে হবে। তারাই ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদের মত করে সকলকে ভোট দিতে হবে। নইলে চলে যেতে হবে।
শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, ২০২১ সালে শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে বলে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে ধোকা দিয়েছে। আগের রাতে ভোট হয়ে গেল। এখন আবার বিদেশিদের কাছে বলছে তাতের অধীনেই সুন্দর ভোট হবে। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশান হবে। আহারে কি আবদার। শিয়ালের কাছে বার বার কুমিরের বাচ্চা দেওয়া যাবে না। বার বারই খেয়ে ফেলবে। আমরা এবার আর খেতে দিবো না।
আওয়ামী লীগকে হুশিয়ারি দিয়ে ফখরুল বলেন, আর কোনো সময় নেই, তাদের সময় শেষ। আবারো বলছি, ভালো ছেলের মত সুবোধ বালক-বালিকার মত পদত্যাগ করেন, সংসদ ভেঙ্গে দেন। যদি ভালোই ভালোই শুনে পদত্যাগ করেন তাহলে তো ভালো। তা না হলে ফয়সালা হবে রাজপথে।
পদযাত্রায় আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান।
নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পদযাত্রায় সকাল থেকে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা জেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমবেত হয়। সমাবেশ শেষে পদযাত্রাটি বেগমগঞ্জ উপজেলার দিকে অগ্রসর হয়।