বিএনপি আশা করেছিল বিদেশি প্রতিনিধিরা এসে একটি নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলবে, এটা কেউ বলেনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন । কারো সাথে কোন আলাপে এই প্রসঙ্গটাই আসেনি। বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার গঠন। এটি বাংলাদেশে যেমন হালে পানি পায়নি, বিদেশিদেরও কারো সমর্থন তারা পায়নি।
তিনি আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ইউজি ক্যাম্পাসে কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু আলোচনায় এসেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। এমনকি সবার অন্তভূক্তিমূলক নির্বাচন, সেই কথাটাও আসেনি। অবশ্যই আমরা চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করুক, সবাইকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই। তবে সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, নতুনত্ব যেটি আছে, সেটি হচ্ছে তারা উম্মুখ হয়ে বসেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যখন আসবে তখন তারা তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিদেশিদের দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল তারা কত বড় সমাবেশ করতে পারে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নয়াপল্টনের সামনে পুরো রাস্তাজুড়ে বড়জোড় ৩০ হাজার মানুষ ধরে। সেখানে না হয় আরো ১০ হাজার আমি যোগ করলাম। এর চেয়ে তো বেশি মানুষ হয়নি সেখানে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১২ ঘণ্টার নোটিশে তিনটা রাস্তাজুড়ে আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ করেছি। সবাই দেখেছে কতবড় সমাবেশ আওয়ামী লীগ করার ক্ষমতা রাখে।
সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নিবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সংলাপ নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশনের সাথে হতে পারে। সুতরাং নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যদি কোন কথাবার্তা বলতে হয় সেটি নির্বাচন কমিশনের সাথে বলতে হবে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের প্রতিষ্ঠতা ড. কামাল এখানে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল স্কুল ও হাসপাতাল গড়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এজন্য আপনাদের আরও কিছু জায়গার প্রয়োজন। আমি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি, আপনারাও আপনাদের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়া চালিয়ে যান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুষ্ঠান শেষে কোর্সের শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন । অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য ডেভিড টেলর, কম্পিউটার সায়েন্স ব্রিজ প্রোগাম-এর পরিচালক অধ্যক্ষ শাম্স ফররুখ আহমেদ ও অনলাইনে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. রুবানা হক ও প্রফেসর শাহাদাত হোসেন বক্তৃতা করেন।