টাইটান জীবনবাজি রেখে পাঁচ দুঃসাহসী অভিযাত্রী নিয়ে যাত্রা করে । যাত্রার আগে পাঁচ যাত্রীই বন্ডে সই করে দেন যে তার এই যাত্রায় মৃত্যু হলে তার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। মানে নিশ্চিত মৃত্যু হতে পারে জেনেও জীবন্ত পাঁচজন মানুষ যাত্রা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তারা আর ফিরতে পারেনি। তাদের লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সলিলসমাধি হয় ছোট ডুবোযান টাইটানের৷ কেমন ছিল সেই ডুবোযানের পাঁচ যাত্রীর জীবনের শেষ মুহূর্ত? সেই প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসছে একের পর এক নানা ভংঙ্কর ঘটনা৷ ওই তালিকায় সংযোজিত হচ্ছে নতুন এক ধারণা৷ এই ভয়ঙ্কর কথা বলেছেন স্প্যানিশ ইঞ্জিনিয়ার তথা আন্ডারওয়াটার এক্সপার্ট জোসে লুইস মার্টিন৷

টাইটানের যাত্রা শুরু থেকে দুর্ঘটনার মুহূর্ত পর্যন্ত বিশদ বিবরণ দিয়েছেন মার্টিন৷ তার বিশ্লেষণ মতে, নিয়ন্ত্রিত অবতরণের সময়েই বৈদ্যুতিন ত্রুটি ধরা পড়ে৷ এই কারণে ডুবোজাহাজের পানি কেটে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে গিয়েছিল৷ পরিণামস্বরূপ ডুবোযানটি অবস্থানের স্থিতি হারিয়ে ক্রমশ সমুদ্রতলের দিকে অবতরণ করছিল৷

পরিস্থিতি এতই জটিল হয়ে দাঁড়ায় যে ইমার্জেন্সি লিভার তার কর্মক্ষমতা হারায়৷ ডুবোযানটি অবতরণের পর নতুন গভীরতায় পৌঁছতেই ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দেয় যখন ডুবোযানের ভিতরে পাঁচ যাত্রীই ভিড় করেন ভিউপোর্টে৷

অতলে ডুবোজাহাজ হু হু করে নিচে নামছিল৷ ভয়ঙ্কর সেই ‘ফ্রি ফল’ চলে ৪৮ সেকেন্ড থেকে ৭১ সেকেন্ড পর্যন্ত৷ তখনই যাত্রীরা টের পান তাদের শেষ মুহূর্ত উপস্থিত৷ ডুবোজাহাজ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় একে অন্যের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যাত্রীরা৷ ধারণা বিশেষজ্ঞ মার্টিনের৷ ততক্ষণে আলো নিভে গিয়ে নিকষ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল ডুবোজাহাজ টাইটান৷

টাইটানের যাত্রী ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, ওশনগেট সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ এবং ফরাসি ডুবোজাহাজ বিশেষজ্ঞ পল অঁরি নার্গিওলেট৷ পাঁচ দুঃসাহসী অভিযাত্রী চিরঘুমে ঘুমিয়ে পড়লেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে৷ সূত্র : নিউজ১৮

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031