কারো নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের নির্বাচন থেমে থাকবে না। বাইরের দেশের হস্তক্ষেপে আমরা নির্বাচন চাই না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে।

শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১০ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় তারা দৌড়ঝাঁপ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিও আসবে। অনেক দল আসবে। দলের অভাব হবে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন এদেশে হবেই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে তাদের হেরে যাওয়ার ভয়। এজন্য তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। টাকা-পয়সা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে। এত টাকা তারা কোথায় পায়?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারো ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। আমরা কারও ওপর হস্তক্ষেপ করি না। আমাদের নির্বাচনে বাইরের কোন দেশের হস্তক্ষেপ চাই না। নিয়মকানুন মেনে নির্বাচনে যাচ্ছি। নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কোন দেশে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়? বাংলাদেশে কেন হবে? নির্বাচন শেষে পার্লামেন্ট ভাঙ্গবে। আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধানে যেভাবে আছে সেভাবে চলব। কারো পরামর্শে চলব না। পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন দেখতে পারেন কেমন নির্বাচন হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ওপর দেশের মানুষ আস্থাশীল। সেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি এখন বেসামাল হয়ে পদযাত্রায়। এই পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত ‘পতনযাত্রায়’ রূপ নিবে। বিএনপির আর কোন পথ নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নিজেদের দলের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই। বিভিন্ন সিটি নির্বাচনে তাদের নেতাকর্মীরা প্রার্থী হয়েছে। মির্জা ফখরুলের কথা শোনেনি। এখন তাদের অনেক নেতা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে জায়গায় জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারো ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস শুরু করেছে। এরা ক্ষমতায় গণতন্ত্র, আইনের শাসন গিলে খেয়েছে, ভোট চুরি করেছে, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরা আবার ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ শুদ্ধ গিলে খাবে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে গিলে খাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আর নয় হাওয়া ভবন, খালেদা জিয়ার দুঃশাসন, বিএনপির অপরাজনীতি।

তিনি বলেন, বিএনপি নামক অপশক্তি, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশের দায়িত্ব, নিরাপত্তা, ক্ষমতা আমরা ছেড়ে দিতে পারি না।

বিএনপি এখন ফাউল শুরু করেছে উল্লেখ করে যারা ভিসানীতি প্রয়োগ করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, চট্টগ্রামে জাতির পিতার ছবি কারা ভাংচুর করেছে? মহান মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিচিহ্নের ওপর হামলা চালিয়েছে? এরা কারা- এরা বিএনপি। এরা পুরনো সন্ত্রাস, পুরনো হাওয়া ভবন, পুরনো ভোটচুরি – এরা কে? বিএনপি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, লোডশেডিং কমে গেছে। কয়েকদিন পর পুরোপুরি লোডশেডিং চলে যাবে। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। দুর্দিন কেটে যাবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031