৪৭ কিলোমিটার পুরনো রেললাইন নতুন করে সংস্কারে বিভিন্ন প্যাকেজে কাজ চলছে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত । দোহাজারী–কক্সবাজার ১০১ কিলোমিটার রেল লাইনের সাথে চট্টগ্রাম–দোহাজারী ৪৭ কিলোমিটার রেল লাইন আধুনিকায়নের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এই ৪৭ কিলোমিটার রেল লাইনের মধ্যে চট্টগ্রামের জানআলীহাট স্টেশন থেকে বোয়ালখালী উপজেলার বেঙ্গুরা স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং পটিয়ার খরনা স্টেশন থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারসহ মোট ১৬ কিলোমিটার রেল লাইন এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। এই ১৬ কিলোমিটার রেললাইনে পাথর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) মো. আরমান হোসেন।
তিনি বলেন, পুরো রেললাইনে নতুন করে পাথর বসানোর পর এবং পুরনো স্লিপার পরিবর্তন করে নতুন স্লিপার বসানোর পর রেল লাইনটি একেবারে নতুন আঙ্গিকে রূপ পাবে।
‘এদিকে দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরে দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইন উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই লক্ষ্যে কাজ চলছে। কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর জন্য চট্টগ্রাম–থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার রেলপথও সেভাবে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম–থেকে ষোলশহর পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ আগে সংস্কার করা হয়েছে। সুতরাং এই সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ বেশ ভালোই আছে। তাই আমরা ষোলশহর থেকে দোহাজারী পর্যন্ত অবশিষ্ট সাড়ে ৪০ কিলোমিটার রেলপথ আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। এই সাড়ে ৪০ কিলোমিটার রেলপথ আধুনিকায়নের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত কক্সবাজার রুটের ট্রেন ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে।’
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলবে বলে জানান দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার রেলপথ পুরনো হওয়ায় এখানে ট্রেনের গতি একটু কম থাকবে। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত যেতে ৪৫ মিনিট সময় লাগবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেন পৌঁছতে আড়াই ঘণ্টা লাগবে। অপরদিকে কক্সবাজারগামী ট্রেন দোহাজারী–চকরিয়াসহ ২–৩টি স্টেশনে ট্রেন থামবে এই কারণে।