তাদের স্বজনরা সাগরে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ভোলার চরফ্যাসনের ৭ জেলের মধ্যে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন । নিখোঁজের পাঁচদিন পর শুক্রবার দুপুরে সাগর মোহনার তিনচর এলাকা থেকে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও ২ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতদের লাশ নিয়ে একটি ট্রলার চরফ্যাসনের সামরাজ ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ লাশবাহী ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছাবে। লাশ উদ্ধারের খবরে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা সামরাজ ঘাটে ভিড় করতে শুরু করেছেন।
আজ দুপুর পর্যন্ত নুরুল ইসলাম, হারুন দর্জি, শরিফ হোসেন, ছাত্তার হাওলাদার, ফজলে করিম রারী ও নুর ইসলামের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাসন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার। তিনি আরও জানান, এদের মধ্যে প্রথম চারজনের বাড়ি চরফ্যাসনের মাদরাজ ইউনিয়নে ও নুর ইসলামের বাড়ি একই উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নে।
সিহাব ও রহিম মাঝি নামে ২ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান তিনি।
সামরাজ ঘাটের জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানা ট্রলার মাছ ধরতে গিয়ে গত ২৫ জুন সাগরের মোহনায় ঢেউয়ের আঘাতে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে জাহাঙ্গীর ও আবদুল গণিকে দুর্ঘটনার পর পরই পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালির জেলেরা জীবিত উদ্ধার করে।
এ ছাড়া ঘটনার তিনদিন (২৮ জুন) আবদুর রব, জাকির মিন্ত্রী, আনোয়ার ও জাকির আকন নামে আরও ৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
সামরাজ ঘাটের আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সামরাজ ঘাট থেকে ২টি ট্রলারে করে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চালায়। তারা আজ দুপুর পর্যন্ত সাগর মোহনার তিনচর ও শিবচর এলাকা থেকে ৫ জনের লাশ উদ্ধারে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, ৫ জনের লাশ নিয়ে একটি ট্রলার সামরাজ ঘাটের উদ্দেশে রওনা করেছে। সন্ধ্যা নাগাদ লাশবাহী ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছাবে।