জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট সংলগ্ন । নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত শুরু হয়। শেষ হয় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে। ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে খুতবা দেন ইমাম। এরপর সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির মহামারি থেকে মুক্তিসহ কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত হয়।
প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ড. মাওলানা মুশতাক আহমেদ। মোনাজাতে মাওলানা মুশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সিটি মেয়রসহ দেশ পরিচালনায় নিয়জিত সবার জন্য নেক হায়াত কামনা করেন। এ সময় দেশের মানুষের ‘বালা মুসিবত’ থেকে সুরক্ষা চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।
মোনাজাতে বিশ্বের মুসলিমদের শান্তি কামনার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে তাদের জন্যও আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত
এ জামাতে দেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুর রহমান,সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মুসলমান অংশ নেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান জমাতে বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান এবং মোকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মাওলানা হাবিবুর রহমান মেশকাত।
এর আগে সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কোরবানির ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে আসেন। পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে তিনটি চেকপোস্ট পার হয়ে ঈদগাহ ময়দানে আসেন মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তীক্ষ্ণ নজর রাখেন। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।