বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী sপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কবরে পাঠানোর’ হুমকিদাতাদের গুলি করার হুমকি দিয়েছেন । গত ২৩ জুন বিকালে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ হুমকি দেন। এ সময় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীরে যারা হুমকি দিয়ে তারারে গুলি গরি মাইজ্যুম।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে যারা হুমকি দেয় তাদের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত। আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা খন্দকার মোশতাক আছে তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। এখন পিছনে ফিরে থাকানোর সময় নেই। নেত্রীর উপর যে কোনো আঘাত আসলে বুক পেতে দেব, আমি এমপিত্ব চাই না, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি, শেখ হাসিনার কর্মী। কিছুদিন আগে বিএনপির এক সমাবেশে প্রকাশ্যে এক নেতা বলেছিল, শেখ হাসিনাকে নাকি কবরে পাঠাবে। তার প্রতিবাদে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের এই অফিস থেকে একটা মিছিল বের করেছিলাম। মিছিলের একটিমাত্র কারণ ছিল, যারা বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে, তাকে এবং তার দোসরদের প্রতিহত করা।

সেই মিছিলে অস্ত্র হাতে এমপির ছবি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। সেজন্য পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে স্বাধীনতা দিয়েছে। তার মানে এই নয় যে, আপনারা যা ইচ্ছা তা বলবেন আর আমরা শুনব। একটা পত্রিকা আছে যেটা সবসময় খুঁটিনাটি খুঁজে বেড়ায়। ফোন করে নানা কথা জানতে চায়। সেই পত্রিকার এক সাংবাদিক আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিল, আপনি কেন অস্ত্র হাতে নিয়ে মিছিল করলেন? আজ এই মিটিং থেকে আমি প্রকাশ্যে বলছি, আমার পিস্তল অবৈধ নয়, লাইসেন্স করা পিস্তল। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ব মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে, না হলে দেশ আবার আগের মতো পিছিয়ে যাবে। সুতরাং আমি এমপি থাকি আর না থাকি, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে। সুতরাং যারা প্রধানমন্ত্রীকে মারার হুমকি দিয়েছে, তাদের মারার জন্য আমি পিস্তল হাতে নিয়েছি। আবার বলছি, এটা ১৯৭৫ সাল নয়, ২০২৩ সাল। নেত্রীর উপর যদি কোনো আঘাত আসে কাউকে রেহাই দেব না।

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, পিস্তল নিয়ে মিছিল করার পর আমি যখন সংসদে গেলাম, অনেকে আমাকে এসে বলেছেন, আপনি তো হিরো হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীরে যারা হুমকি দিয়ে তারারে গুলি গরি মাইজ্যুম।

উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর। বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশ, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আকতার কাজমী, সরল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদত আলম, বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট তোফাইল বিন হোছাইন, চাম্বলের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দীন, শীলকূপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কায়েশ সরওয়ার সুমন, শেখেরখীল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নীলকণ্ঠ দাশ, শীলকূপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ভুপাল বড়ুয়া, সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক আসাদুর রশিদ, বাঁশখালী পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হামিদ উল্লাহ, মাহমুদুল ইসলাম, উপজেলা ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা আক্তার হোছাইন প্রমুখ।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031