বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আসন্ন কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট যাতে কারসাজি করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে । কোরবানির চামড়া ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও সংরক্ষণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকির জন্য সরকার চারটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আজ রবিবার বেলা ১১টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বৈঠক করবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এদিকে গত কয়েক বছর সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও এর তদারকি না থাকায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও গরিব মানুষসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও বঞ্চিত হয়। এ জন্য এ বছর চামড়া বাজারে যাতে কেউ নৈরাজ্য তৈরি করতে না পারে সেজন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
জানা গেছে, কোরবানির চামড়া পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা দূর করাসহ ঈদের পর সাত দিন ঢাকার ভেতর ও বাইরে থেকে কাঁচা চামড়া পরিবহন না করা এবং সীমান্তসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পাচার রোধে তদারকি বাড়াতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া লবণ না দিয়ে কাঁচা চামড়ার ঢাকামুখী পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। চামড়ার গুণগত
মান রক্ষার্থে যথাযথ পদ্ধতিতে সংগ্রহ, লবণ প্রয়োগ ও সংরক্ষণ এবং পরিবেশসম্মত উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা বাড়াতে টেলিভিশন ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ঈদুল আজহা উষ্ণ ও আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। তাই কাঁচা চামড়ার মান বজায় রাখতে সচেতনতা প্রয়োজন। চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকার অন্যতম প্রধান কাঁচামাল কাঁচা চামড়া। কোরবানির সময় প্রায় ১ কোটি পশু থেকে বার্ষিক মোট চাহিদার ৪০-৫০ শতাংশ চামড়া সংগৃহীত হয়ে থাকে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ জানিয়েছেন, এ বছর সম্ভাব্য ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। তাই এবার কোনো পশু আমদানির প্রয়োজন হবে না।