বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকের সুদহার গণনায় নতুন নিয়ম চালু করেছে । এর ফলে ব্যাংকে সুদহার বেড়েছে। এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও একই পদ্ধতি চালু করায় সুদহার বাড়বে। ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে শুধু ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত ও ঋণের সুদহার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ জুলাই থেকে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে।
আজ মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ জুলাই থেকে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করা নতুন নিয়মে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ সুদে আমানত নিতে পারবে। তাদের থেকে কোনো গ্রাহক ঋণ নিলে সেক্ষেত্রে তারা গ্রাহকের কাছ থেকে ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ হারে সুদ নিতে পারবে। এ ছাড়া অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয় ঋণে আরও ১ শতাংশ তদারকি মাশুল যুক্ত করা যাবে। ফলে, এসব ঋণে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাছে রাখা আমানতের ওপর সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদ দিতে পারে। আর তাদের থেকে ঋণ নিলে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদ নিতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হার হবে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। যে হিসাবের ওপর ভিত্তি করে এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল’ বা ‘স্মার্ট’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আজ জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোনো সুদ আরোপ করার পর ছয় মাসের মধ্যে তা পরিবর্তন করা যাবে না। এর মধ্যে সুদহার বাড়লেও ব্যাংক থেকে গ্রাহকের সুদ বাড়ানো যাবে না। আবার সুদহার কমলেও গ্রাহকের সুদ কমবে না।