জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে ‘সব ধরনের বসতি স্থাপনের কার্যক্রম’ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে ওই এলাকায় স্থিতিশীলতা ও শান্তি মারাত্মক বিঘ্নিত হবে। পশ্চিমতীরে জেনিন শরণার্থী শিবিরে গত সোমবার ইসরায়েলি অভিযানে ৫ জন নিহত হওয়ার পর গুতেরেস এ নিয়ে মন্তব্য করলেন। প্রসঙ্গত অভিযানে গতকাল মঙ্গলবার আহত আরেকজন মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহত দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। খবর আল জাজিরা। বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ইসরায়েলের বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা ওই এলাকায় উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধি করবে এবং সেখানে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালালে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৯০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ওই ঘটনার পর সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, অধিকৃত পশ্চিমতীরে এ ধরনের বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেছেন গুতেরেস। ফারহান হক বলেন, ‘এ অবৈধ বসতিগুলোর সম্প্রসারণ ভূখ-টিতে উত্তেজনা ও সহিংসতা সৃষ্টি করছে এবং মানবিক সংকটকে আরও গভীর করছে।’ ফারহান হক আরও জানান, ইসরায়েলের বসতি স্থাপন পরিকল্পনার পদ্ধতি সংশোধন করার সিদ্ধান্তে গুতেরেস ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের কট্টরপন্থি জোট সরকার অধিকৃত পশ্চিমতীরে নতুন করে কয়েক হাজার বসতি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধ্যবাধকতাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল সরকার। ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছে, নতুন কয়েক হাজার বসতি বাস্তবায়ন হলে গোটা পশ্চিমতীর ইসরায়েলের দখলে চলে যাবে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বসতি স্থাপন কার্যক্রম অনুমোদন করা ‘পশ্চিমতীরের দখল কার্যক্রমকে পরিপূর্ণ করার কাজ বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দেবে।’