তিনজন নিহত আহত ২২ জন হয়েছেন। খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে চাঁদের গাড়ি উল্টে এক স্কুলছাত্রীসহ ।
নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মানিকছড়ির ডাইনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী অঞ্জনা ত্রিপুরা (১৫), কমলাপতি ত্রিপুরা(৫৫)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া বাকি একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। তবে তার নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে বাটনাতলী থেকে নেপচুন চা বাগানগামী চাঁদের গাড়ী (ঢাকা-ঘ-৮৯৮৩) উপজেলার সুদুরখীল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গভীর খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রামগড় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো: হুমায়ুন রশীদ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র সূত্র জানায়, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে মানিকছড়ির ডাইনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী অঞ্জনা ত্রিপুরা (১৫) ও কমলাপতি ত্রিপুরা(৫৫) নিহত হন।
দুর্ঘটনায় আহত অপর ২৩ জনকে উদ্ধার করে মানিকছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হলে পথে একজন মারা যান।
আহতদের মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফুল মালা ত্রিপুরা (১৫), মালা ত্রিপুরা (২৫), শান্তু ত্রিপুরা (৩৫), শোভা রাণী ত্রিপুরা( ১৫), কিরণ মালা ত্রিপুরা (৩০), পুলিন্দ্র ত্রিপুরা (১৫), অমল চন্দ্র ত্রিপুরা (১৫), চন্দ্রা রাণী ত্রিপুরা (১৪), সুরু কুমার ত্রিপুরা (৩০), খিরন্দ্রী ত্রিপুরা (৪০), কুলিন্দা ত্রিপুরা (৩৫), মনিবালা ত্রিপুরা (১৫), পুতলি ত্রিপুরা (১৬), মহালক্ষী ত্রিপুরা (৩০), জ্যোৎস্না ত্রিপুরা(১৭)।
নিহত ও আহত সকলে নেপচুন চা-বাগানের শ্রমিক বলে জানা গেছে। নিহত স্কুলছাত্রী অঞ্জনা ত্রিপুরা অভাবের তাড়নায় পড়া লেখার পাশাপাশি চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করতো।
মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যুথিকা সরকার জানান, শ্রমিক কর্মস্থলে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে চা-বাগান মালিক পক্ষের কোন ত্রুটি ছিল না বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রকিব জানান, নিহত কিংবা আহতদের কেউ মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।