আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুইটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার চায় বাংলাদেশ পুলিশদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুত সেবা পৌঁছে দিতে । জেএসসি রাশিয়ান হেলিকপ্টার্স কোম্পানি থেকে এগুলো কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে পুলিশ ও আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ। পুলিশে গঠন করা হয়েছে এয়ার উইং। পাইলট প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।
গত ৩১ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সংক্রান্ত সভা হয়। এতে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের সভাপতিত্বে ওই সভায় আইজিপি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বিজিবি মহাপরিচালক ও র্যাব মহাপরিচালকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ নির্বাচনের আগেই পুলিশের জন্য হেলিকপ্টার কেনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আলী হোসেন। তিনি বলেন, রাশিয়ান যে কোম্পানির সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে তারা টেকনিক্যাল কিছু বিষয় তুলে ধরে সামান্য সময় চেয়েছে। ফলে একটু বিলম্ব হতে পারে।’ হেলিকপ্টার কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। চলতি বছরই পুলিশের এভিয়েশন ইউনিটে হেলিকপ্টার যোগ করার চেষ্টা চলছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, রাশিয়া থেকে গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট পদ্ধতিতে ২টি হেলিকপ্টার কিনতে বাংলাদেশ পুলিশ এবং হেলিকপ্টার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেএসসি রাশিয়ান হেলিকপ্টার্সের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। তার আগে এসব হেলিকপ্টার কিনতে সরকারি ক্রয় কমিটিতে ৪২৮ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এই অর্থের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। একজন নারীসহ পুলিশের চারজন সহকারী পুলিশ সুপার আর্মি এভিয়েশন স্কুলে হেলিকপ্টার চালানোর প্রশিক্ষণ গত বছরের মার্চে শেষ করেছেন। তারা পাইলট হিসেবে পুলিশের এয়ার উইংয়ে যোগ দিয়েছেন। প্রশিক্ষণে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম হন এএসপি ফাতেমা তুজ জোহরা। পুলিশের বাকি চার পাইলট হলেন সিনিয়র এএসপি মুশফিকুল হক চন্দন, শরীফ সারোয়ার হোসেন ও আবুল হোসাইন। এয়ার উইংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) জাহাঙ্গীর আলম।
পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনপূর্ব ও পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, দাঙ্গা দমনসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চেলে দ্রুত পুলিশি সেবা পৌঁছানোর জন্য হেলিকপ্টার প্রয়োজন। এ ছাড়া জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা সহজ হবে।