এবার মো. হোসাইন (৮) নামে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা টেকনাফে । গত রোববার সকালে উপজেলার হ্নীলা ইউপির দক্ষিণ লেদা এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। শিশু হোসাইন হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ লেদা সুলতান আহমদের ছেলে। সে লেদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
অপহৃতের বাবা সুলতান আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত রোববার সকালে হোসাইন স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। পরে বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজাখুঁজি করলেও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। পরে রাতে ফোন করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দিতে না পারলে আমার ছেলেকে হত্যা করা হবে বলে তারা জানায়। গতকাল সোমবার সকালে আবারও কল করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তিনি আরও বলেন, আমি নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের সিআইসি অফিসের গার্ড। এ চাকরি করে অপহরণকারীদের দেওয়ার জন্য এত টাকা কোথায় পাবো।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, এক ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত ২ জুন সন্ধ্যায় টেকনাফের আলীখালী ২৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৫ জনকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম (১৬) আলম নামের একজনকে একটি হাত বিচ্ছিন্ন করে ওই হাতসহ গুরুতর জখম অবস্থায় ক্যাম্পের পাশে ফেরত পাঠিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় অপহৃত অপর চারজনের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এ পর্যন্ত জানে না কেউ।